ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

বাকৃবিতে রাব্বি হত্যাকাণ্ড, ৩ বছরেও রক্ষা হয়নি প্রতিশ্রুতি

বাকৃবি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬১৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৯, ২০১৬
বাকৃবিতে রাব্বি হত্যাকাণ্ড, ৩ বছরেও রক্ষা হয়নি প্রতিশ্রুতি ফাইল ফটো

বাকৃবি (ময়মনসিংহ): ২০১৩ সালের ১৯ জানুয়ারি বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ঘের সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যায় পার্শ্ববর্তী বয়রা গ্রামের শিশু রাব্বি (১০)।

তৎকালীন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ক্ষতিপূরণ হিসেবে নিহত রাব্বির বাবা, মা ও বড় ভাইকে চাকরি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন।



কিন্তু বিগত ৩ বছরে শুধু রাব্বির মায়ের স্থায়ী চাকরি হলেও বেতন আটকে রয়েছে। উপাচার্য পরিবর্তন হওয়ায় বাকিদের চাকরি পাওয়া অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, রাব্বির বাবা দুলাল মিয়াকে পরিবহন শাখায় এবং মা মিনারা খাতুনকে শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলে মাস্টাররোলে চাকরি দেয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। কিন্তু ওই সময়ে রাব্বির ভাইয়ের বয়স ১৮ বছর না হওয়ায় তাকে চাকরি দেয়নি প্রশাসন।

কিন্তু গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে রাব্বির মায়ের চাকরি স্থায়ী করা হলেও নতুন উপাচার্য দায়িত্ব নেওয়ার পর তদন্ত কমিটির সুপারিশে বিজ্ঞাপন বহির্ভূত নিয়োগের কারণ দেখিয়ে রাব্বির মায়ের নিয়োগ বাতিল করে প্রশাসন।

এ বিষয়ে নিহত রাব্বির মা জানান, নিয়োগ স্থায়ী হওয়ার পর থেকে বেতন পাচ্ছেন না। প্রায় এক বছর ধরে বেতন ছাড়াই চাকরি করছেন তিনি।

রাব্বির বাবা দুলাল মিয়া জানান, চাকরি দেওয়ার নাম করে বিভিন্ন কায়দায় ছেলে হত্যার মামলা তুলে নিতে বাধ্য করে বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন প্রশাসন। মামলা তুলে নেওয়ার পরেও আমার চাকরি স্থায়ী করছে না। স্ত্রীর বেতনও আটকে রেখেছে।

বয়রা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আবদুল মালেক জানান, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কথা আর কাজের কোনো মিল নাই। নিহত রাব্বির পরিবারের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় যা করছে, তা অমানবিক।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আলী আকবর বলেন, রাব্বির মায়ের স্থায়ী নিয়োগটি নিয়ে আগের ভিসি ঝামেলা করেছিলেন বলেই বিষয়টি সুরাহা করতে সময় লাগছে। তবে তাকে মাস্টার রোলের বেতন দেওয়ায় তিনি তা নিচ্ছেন না। আর রাব্বির বাবার বিষয়টি সংশ্লিষ্ট শাখায় শূন্যপদ থাকা সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

উল্লেখ্য, ২০১৩ সালের ১৬ জানুয়ারিতে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি শামসুদ্দিন আল আজাদ গ্রুপের সঙ্গে সাধারণ সম্পাদক রফিকুজ্জামান ইমন গ্রুপের চার দিনব্যাপী সংঘর্ষ হয়। এ সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যায় শিশু রাব্বি।

পরদিন বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্র্যাজুয়েট ট্রেনিং ইনস্টিটিউট (জিটিআই) সংলগ্ন মাঠে রাব্বির জানাজায় তৎকালীন ভিসি অধ্যাপক ড. মো. রফিকুল হক রাব্বির পরিবারের তিনজনকে বিশ্ববিদ্যালয়ে স্থায়ী চাকরি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৬১৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৯, ২০১৬
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।