ঢাকা: পাকিস্তানের যুদ্ধাপরাধীদের বিরুদ্ধে প্রাথমিক তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহে কমিটি গঠন করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা।
এসব যুদ্ধাপরাধীদের মধ্যে এখন পর্যন্ত খোঁজ পাওয়া গেছে একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধকালীন পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর ১৯৫ জন এবং নৌ ও বিমান বাহিনীর ৫ জনসহ মোট ২০০ কর্মকর্তার নাম।
৫ সদস্যের কমিটির প্রধান করা হয়েছেন সংস্থার উপ-পরিচালক মতিউর রহমানকে। অন্য চার সদস্য হচ্ছেন উপ-পরিচালক হেলাল উদ্দিন এবং তিন সহকারী পরিচালক নূরুল ইসলাম, মনোয়ারা বেগম ও আব্দুর রাজ্জাক খান।
বুধবার (২০ জানুয়ারি) বেলা এগারটায় তদন্ত সংস্থার রাজধানীর ধানমণ্ডির কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান তদন্ত সংস্থার প্রধান সমন্বয়ক আব্দুল হান্নান খান।
আব্দুল হান্নান খান জানান, পাকিস্তানের যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের বিষয়ে প্রাথমিক তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করবে কমিটি। এটি কোনো আনুষ্ঠানিক তদন্ত নয়। সরকারের নির্দেশনা পেলে ও ক্ষেত্র প্রস্তুত হলে দেশীয় যুদ্ধাপরাধীদের পাশাপাশি পাকিস্তানের এসব যুদ্ধাপরাধীর বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক তদন্ত শুরু হবে বলেও জানান তিনি।
মৌলভীবাজারের রাজনগর উপজেলার পাঁচজনের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলার তদন্তের চূড়ান্ত প্রতিবেদন প্রকাশের জন্য এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা হরি দেবনাথ উপস্থিত ছিলেন।
আব্দুল হান্নান খান জানান, ঢাকার পাশাপাশি দেশের অন্য সাতটি বিভাগীয় পর্যায়ে মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলার তদন্তের জন্য তদন্ত সংস্থার পর্যাপ্ত জনবল রয়েছে। ওই সাত বিভাগীয় শহরেও তদন্ত সংস্থার কার্যালয় স্থাপন করে সেখান থেকে তদন্ত কাজ পরিচালনার চিন্তা করা হচ্ছে।
কমিটির প্রধান মতিউর রহমান বাংলানিউজকে জানান, সোমবার (১৮ জানুয়ারি) এ কমিটি গঠনের পর মঙ্গলবার (১৯ জানুয়ারি) আমরা প্রথম বৈঠক করেছি।
তিনি জানান, স্বাধীনতার পরে ত্রিদেশীয় সিমলা চুক্তির আওতায় বিচার করা হবে বলে জানিয়ে পাকিস্তান চিহ্নিত যুদ্ধাপরাধী ১৯৫ সেনা কর্মকর্তাকে ফিরিয়ে নিয়ে যায়। নৌ ও বিমান বাহিনীর আরও ৫ জনসহ মোট ২০০ যুদ্ধাপরাধীর বিষয়ে আমরা প্রাথমিক তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহের সিদ্ধান্ত নিয়েছি প্রথম বৈঠকে। এসব পাকিস্তানি কর্মকর্তা মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে কে কোথায় অবস্থান করছিলেন, কি কি দায়িত্ব পালন করেছেন এবং কিভাবে মানবতাবিরোধী অপরাধ করেছেন সেসব বিষয়ে তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করবো।
পাকিস্তানি যুদ্ধাপরাধীদের এ সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলেও জানান তিনি।
মতিউর রহমান বলেন, এছাড়া ত্রিদেশীয় সিমলা চুক্তি ও মুক্তিযুদ্ধের পরে পাকিস্তান সরকার গঠিত সেদেশের হামদুর রহমান কমিশনের প্রতিবেদনের কপি সংগ্রহ করবো। এ দুই চুক্তি-প্রতিবেদনেও পাকিস্তানি যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের কথা বলা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১২০৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২০, ২০১৬
এমএইচপি/এএসআর
** এবার পাকিস্তানি ১৯৫ যুদ্ধাপরাধীর বিরুদ্ধে তদন্ত
** লিয়াকত- রজব আলীর বিরুদ্ধে ৭ অভিযোগ
** সাবেক এমপি ঘোড়ামারা আজিজসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে ৩ অভিযোগ