ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

শোষণমুক্ত সমাজ প্রতিষ্ঠায় ঐক্যবদ্ধ হতে হবে

বাংলানিউজ টিম | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮০৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২০, ২০১৬
শোষণমুক্ত সমাজ প্রতিষ্ঠায় ঐক্যবদ্ধ হতে হবে

জাতীয় সংসদ ভবন থেকে: দেশের জনগণের প্রত্যাশা পূরণে সব রাজনৈতিক দলকে এক সঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। শোষণমুক্ত সমাজ প্রতিষ্ঠায় বাঙালি জাতিকে আবার ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বানও জানান তিনি।



রাষ্ট্রপতি বলেন, আমি সরকারি দল ও বিরোধী দলসহ সবাইকে জনগণের প্রত্যাশা পূরণের প্রতিষ্ঠান জাতীয় সংসদে যথাযথ ও কার্যকর ভূমিকা পালনের আহ্বান জানাই।

বুধবার (২০ জানুয়ারি) দশম জাতীয় সংসদের নবম অধিবেশনে রাষ্ট্রপতি তার ভাষণে এ আহ্বান জানান। বিকেল ৪টা ৪৫ মিনিটে রাষ্ট্রপতি তার ভাষণ শুরু করেন। প্রায় ৪০ মিনিট বক্তব্য রাখেন তিনি।

ভাষণ শেষে রাষ্ট্রপতি সংসদের অধিবেশন কক্ষ ত্যাগ করেন। এরপর স্পিকার দিনের কার্যসূচি শেষ করেন এবং অধিবেশন আগামী রোববার (২৪ জানুয়ারি) বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত মুলতবি ঘোষণা করেন।

রাষ্ট্রপতি বলেন, জাতীয় সংসদ দেশের সব উন্নয়ন কার্যক্রমের কেন্দ্রবিন্দু। বর্তমান সরকার রাজনীতি থেকে হিংসা, হানাহানি ও সংঘাতের অবসানের মাধ্যমে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় বাংলাদেশকে একটি উন্নত ও আলোকিত দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠার প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

তিনি বলেন, স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা, পরমতসহিষ্ণুতা, মানবাধিকার ও আইনের শাসন সুসংহতকরণ এবং জাতির অগ্রযাত্রার স্বপ্ন ও আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়নে সরকারি দলের পাশাপাশি বিরোধী দলকেও গঠনমূলক ভূমিকা পালন করতে হবে।

রাষ্ট্রপতি বলেন, নতুন প্রজন্মের জন্য একটি নিরাপদ, সুখি, সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে আমরা একটি স্বর্ণোজ্জ্বল অধ্যায় অতিক্রম করছি। রূপকল্প-২০২১ এবং দিনবদলের সনদের ভিত্তিতে প্রণীত প্রেক্ষিত পরিকল্পনা ও ষষ্ঠ পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার আওতায় বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন এবং এ কার্যক্রমে জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণের ফলে আর্থ-সামাজিক ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি সাধিত হয়েছে।

তিনি বলেন, ইতোমধ্যে সপ্তম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা প্রণয়ন করা হয়েছে এবং এটির বাস্তবায়নও শুরু হয়েছে। ২০২১ সালে স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীতে বাংলাদেশ মধ্য-আয়ের দেশে পরিণত হবে এবং ২০৪১ সালে বিশ্বসভায় একটি উন্নত দেশের মর্যাদায় অভিষিক্ত হবে- এটাই জাতির প্রত্যাশা। আমি দৃঢ়ভাবে আশাবাদী রাষ্ট্র ও সমাজের সর্বস্তরে সুশাসন সুসংহতকরণ, গণতন্ত্রের প্রাতিষ্ঠানিকীকরণ এবং জনগণের সর্বাত্মক অংশগ্রহণের মাধ্যমে আমরা এসব লক্ষ্য অর্জনে সক্ষম হব।

ত্রিশ লক্ষ শহীদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত গৌরবোজ্জ্বল স্বাধীনতা সমুন্নত এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনা সমুজ্জ্বল রাখতে, গণতন্ত্র ও আইনের শাসন সুদৃঢ় করতে এবং শোষণমুক্ত সমাজ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ে তুলতে, বাঙালি জাতিকে আবারও ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে- বলেন রাষ্ট্রপতি।

তিনি বলেন, একাত্তরের শহীদদের কাছে আমাদের অপরিশোধ্য ঋণ রয়েছে, আসুন ধর্ম-বর্ণ-গোত্র নির্বিশেষে এবং দল-মত-পথের পার্থক্য ভুলে জাতির গণতান্ত্রিক অভিযাত্রা ও আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন ত্বরান্বিত করার মাধ্যমে আমরা লাখো শহীদের রক্তের ঋণ পরিশোধ করি।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৮০৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২০, ২০১৬
এসএম/এসকে/এমজেএফ

** নাশকতা নিয়ন্ত্রণে আসায় জনজীবনে স্বস্তি
** রাষ্ট্রপতির ভাষণে বছরের প্রথম অধিবেশন শুরু
** নবম অধিবেশনে পাঁচ প্যানেল সভাপতি
** শীতকালীন অধিবেশন চলবে ২৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।