ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

স্বামী-স্ত্রী হত্যা মামলা

গাজীপুরে মা-ছেলের ফাঁসি, বাবা-মেয়ের যাবজ্জীবন

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮১৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২০, ২০১৬
গাজীপুরে মা-ছেলের ফাঁসি, বাবা-মেয়ের যাবজ্জীবন ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

গাজীপুর: গাজীপুরের কাপাসিয়ায় স্বামী-স্ত্রী হত্যা মামলায় মা-ছেলের ফাঁসি এবং বাবা-মেয়ের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন আনোয়ারা বেগম ও তার ছেলে মো. মোস্তফা এবং যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন মো. রহমত আলী রমু ও তার মেয়ে রহিমা বেগম।

তারা একই পরিবারের চার সদস্য। ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আনোয়ারা বেগম যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত মো. রহমত আলীর স্ত্রী ও মো. মোস্তফা ছেলে ।

বুধবার (২০ জানুয়ারি) দুপুর আড়াইটার দিকে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক একেএম এনামুল হক এ রায় দেন।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০১১ সালে ১৩ নভেম্বর কাপাসিয়া উপজেলার সন্মানিয়া নয়াপাড়া এলাকায় জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে সুরুজ আলী ও তার স্ত্রী হনুফা বেগম খুন হন। পরদিন নিহত সুরুজের ভাই মো. শাহজাহান শেখ বাদী হয়ে কাপাসিয়া থানায় একই এলাকার মো. রহমত আলী রমু, তার ছেলে মো. মোস্তফা, স্ত্রী আনোয়ারা বেগম ও মেয়ে রহিমা বেগমের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন।

দীর্ঘ দিন শুনানি শেষে আসামিদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৩০২/৩৪ ধারায় অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় আদালত এ রায় দেয়। রায় প্রদানের সময় রহিমা বেগম ছাড়া বাকি তিন আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

ঘটনার দিন কাপাসিয়া উপজেলার সন্মানিয়া নয়াপাড়া এলাকার সুরুজ আলী জমিতে মেহগনি বাগান পরিচর্যা করছিলেন। এ সময় আসামিরা দেশীয় অস্ত্র দিয়ে সুরুজ আলীকে কুপিয়ে জখম করেন। স্বামীকে বাঁচাতে তার স্ত্রী হনুফা বেগম এগিয়ে এলে তাকেও কুপিয়ে জখম করেন। এতে ঘটনাস্থলেই সুরুজ আলী নিহত হন এবং তার স্ত্রী হনুফা বেগমকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ভর্তি করা হয়। পরদিন হনুফা বেগম চিকিৎসাধীন অবস্থায় হাসপাতালে মারা যান।

রাষ্ট্রপক্ষের পিপি মো. হারিছ উদ্দিন আহমেদ রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন। অন্যদিকে আসামিপক্ষের আইনজীবী ওয়াহিদুজ্জামান আকন তমিজ এ রায়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে উচ্চ আদালতে আপিল করবেন বলে জানান।

বাংলাদেশ সময়: ১৮১২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২০, ২০১৬
এএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।