ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

শীতে কাপছে ভোলা, মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬২৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৪, ২০১৬
শীতে কাপছে ভোলা, মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ভোলা: ভোলায় তীব্র শীতে কাপছে মানুষ। হাঁড় কাপানো শীতে গত দু’দিনে মারা গেছে ৩জন।

শীতের কারণে ঘর থেকে বের হতে পারছেনা দিনমজুর আর খেটে খাওয়া মানুষ। জেলার হাসপাতাল গুলোতেও শীতজনিত রোগে অসুস্থ রোগীদের ভীড়।
 
এদিকে জেলা জুড়ে এ মৌসুমের সর্বনিম্ন ৯ ডিগ্রি সেলিসিয়াস তাপমাত্রা বিরাজ করায় আরো বেশি দুর্ভোগে পড়েছেন হত দরিদ্ররা। শীতবস্ত্র না পাওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন তারা।

শীতার্তরা জানায়, গত দু’দিন ধরে একদিকে শীত, অন্য দিকে হিমেল হাওয়া আর গরম কাপড় না থাকার কষ্ট নিয়েই শীতের তীব্রতায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন।
 
হাঁড় কাপানো শীত যেন দিন দিন বেড়েই চলছে, আগুন জ্বালিয়ে শীত নিবারণের জন্য কেউ কেউ চেষ্টা করলেও শিশু ও বয়স্করা পড়ছেন বিপাকে। শীতের কারণে কাজে যেতে পারছেনা রিকশাচালক, দিন মজুর ও খেটে খাওয়া মানুষ।

কৃষক জালাল উদ্দিন বলেন, শীত বেড়েছে, তবুও ক্ষেত খামারে কাজ করছি। রিকশা চালক সলেম জানায়, তীব্র শীত তবুও উপেক্ষা করে ভোর থেকেই পেটের টানে রিকশা চালাতে বের হচ্ছি, কিন্তু যাত্রী নেই।

সদরের ধনিয়া এলাকার কাজল বেপারী (৯২) ও আবদুর রব (৭৫) বলেন, বিগত দিনের এমন শীত ছিলোনা। গরম কাপড়েও শীত কমছে না, আমাদের এলাকায় কেউ শীতবস্ত্র পায়নি।

দিন মজুন হারুন বলেন, দরিদ্র মানুষ শীতে চরমভাবে কষ্ট পেলেও আমরা শীতবস্ত্র পাইনি।

রোজিনা বলেন, শীতে শিশুদের রোগ বালাই বৃদ্ধি পেয়েছে। শিশুদের নিয়ে আতঙ্কের মধ্যে আছি।

এদিকে ভোলা সদর হাসপাতালসহ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স গুলোতে খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে সেখানে নিউমোনিয়াসহ শীতজনিত রোগে আক্রান্ত শিশুদের ভীড়।
 
শীতের কারণে গত দু’দিনের জেলায় মনপুরায় ৩ বৃদ্ধ মারা গেছে। শীতার্ত বহু মানুষ শীতবস্ত্র পায়নি বলে অভিযোগ তাদের। গত মৌসুমের চেয়ে শীতের প্রকোপ অনেক বেশি বলেও জানায় উপকূলের এসব মানুষ।

ভোলা আবহাওয়া অফিসের ইনচার্জ জামিনুর রহমান বলেন, রোববার জেলায় মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্র রেকর্ড হয়েছে ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তাপমাত্রা কমে যাওয়ার কারণে শীত বাড়ছে। জানুয়ারি মাসের শেষ সপ্তাহ পর্যন্ত তা অব্যাহত থাকবে।

এ ব্যাপারে ভোলার জেলা প্রশাসক সেলিম রেজা বলেন, শীতার্ত মানুষের দুভোগ লাগবে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে চেষ্টা করা হচ্ছে। এ পর্যন্ত জেলা ১৫ হাজার কম্বল বিরতণ করা হয়েছে, আরো বরাদ্দ পেলে পর্যায়ক্রমে তা বিতরণ করা হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৬২১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৪, ২০৬
এসএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।