ঢাকা: আটক ভিওআইপি ব্যবসায়ী চক্রটি প্রতিবছর প্রায় ২ কোটি টাকার আমদানি পণ্য ও সেবার ওপর আরোপিত কর (ট্যারিফ) ফাঁকি দিতো বলে জানিয়েছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
এভাবে গত ১০ বছর ধরে অবৈধভাবে ভিওআইপি ব্যবসা চালিয়ে আসছিলো তারা।
সোমবার (২৫ জানুয়ারি) দুপুরে আগারগাঁওয়ে র্যাব-২ এর কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে উপ-পরিচালক ড. দিদারুল আলম এসব তথ্য জানান।
এর আগে রোববার (২৪ জানুয়ারি) দিনগত গভীর রাতে অভিযান চালিয়ে রাজধানীর ভাটারা থানা এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়।
তারা হলেন- ভিওআইপি ব্যবসা চক্রটির এক্সিকিউটিভ অপারেটর ফয়েজুল্লাহ রিয়াদ (২৬), মোকলেছুর রহমান (৩৬) ও সাইফুল ইসলাম (২৫)।
ড. দিদারুল আলম বলেন, চক্রটির প্রধান অর্থদাতা দিদারুল আলম নামে এক কুয়েত প্রবাসী। বিভিন্ন সরঞ্জাম ব্যবহার করে তারা বছরে ২ কোটি টাকা করে সরকারি শুল্ক ফাঁকি দিয়ে আসছিলেন বলে বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন রেগুলাটরি কমিশন (বিটিআরসি) র্যাবকে জানিয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, আটক হওয়াদের কাছ থেকে এক হাজার ৮৭৯ টি বিভিন্ন অপারেটরের সিম কার্ড, ৩২ পোর্টের ৪টি ভিওআইপি সেট, ভিওআইপি অ্যান্টেনা ৩৪ টি, ল্যাপটপ ৩টি এবং ১২টি ওয়ারলেস রাউটারসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম জব্দ করা হয়। এসব সরঞ্জামের আনুমানিক মূল্য ৩০ লাখ টাকা।
বাংলাদেশ সময়: ১৭২৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৫, ২০১৬
এনএইচএফ/জেডএফ/এমএ