রাজশাহী: রাজশাহী মহানগরীর হড়গ্রাম এলাকায় পাগলা কুকুরের কামড়ে সাতজন আহত হয়েছেন। এ ঘটনার পর কুকুর নিধনে নেমে পড়েছেন এলাকাবাসী।
বিক্ষুব্ধ লোকজন মঙ্গলবার (২৬ জানুয়ারি) সকাল থেকে কুকুর নিধন অভিযান শুরু করেন। দুপুর পর্যন্ত ওই এলাকার ৪টি কুকুরকে তারা পিটিয়ে মেরেছেন।
তবে যে কুকুরের কামড়ে এলাকাবাসী আহত হয়েছেন সেটিকে মারা সম্ভব হয়নি।
এদিকে পুরো নগরীজুড়ে বেওয়ারিশ কুকুরের সংখ্যা আশঙ্কাজনক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। সন্ধ্যা নামলেই বিভিন্ন রাস্তার মোড়ে এসব কুকুরের অত্যাচারে পথচারীদের পড়তে হচ্ছে সমস্যার মুখে।
সোমবার (২৫ জানুয়ারি) মহানগরীর হড়গ্রাম পূর্বপাড়া এলাকায় কুকুরের কামড়ে সাতজন আহত হওয়ার পর এ অভিযান শুরু হয়। প্রথমে পাগলা কুকুরের কামড়ের শিকার হন হাবিবুল্লাহ নামে ১২ বছরের এক শিশু।
তার মা শেফালী বেগম জানান, সকালে তার ছেলে বাড়ির পাশে খেলা করছিল। এ সময় পাগলা কুকুরটি তেড়ে এসে ছেলেকে কামড় দেয়। ৩ থেকে ৪ ঘণ্টার মধ্যে ওই এলাকার আরও ছয়জনকে কামড়িয়ে আহত করে কুকুরটি।
তিনি আরও জানান, মঙ্গলবার (২৬ জানুয়ারি) সকালে ছেলেকে নিয়ে তিনি রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছেন ভ্যাকসিন দেওয়ার জন্য। কিন্তু সেখানে ভ্যাকসিন পাননি। বাধ্য হয়ে ওষুধের দোকান থেকে কিনে নিয়ে গিয়ে ভ্যাকসিন দিতে হয়েছে ওই শিশুকে।
এ বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক রামেক হাসপাতালের জরুরি বিভাগে কর্তব্যরত নার্স-সেবিকা বাংলানিউজকে জানান, সরবরাহ করা ভ্যাকসিন শেষ হয়ে যাওয়ার কারণে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই ভ্যাকসিন আসলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে যাবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৬, ২০১৬
এসএস/আইএ