নীলফামারী: নীলফামারীতে জিয়ারুল হক নামে এক রিকশাভ্যান চালক হত্যা মামলায় দু’জনকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ডাদেশ ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ছয় মাস করে কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার (২৬ জানুয়ারি) দুপুরে নীলফামারীর অতিরিক্ত দায়রা জজ আদালতের বিচারক মাহবুবুল আলম এ রায় দেন।
দণ্ডাদেশ প্রাপ্তরা হলেন- নীলফামারীর সৈয়দপুর উপজেলার শ্বাসকান্দর গ্রামের ইদ্রিস আলীর ছেলে আব্দুল কাদের (৩০) ও বোতলাগাড়ি বালাপাড়ার মফিজ উদ্দীনের ছেলে গোলজার হোসেন (৩৫)। এদের মধ্যে গোলজার হোসেন পলাতক।
একই মামলায় অপর তিন আসামিকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে।
মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণে জানা যায়, ২০০৭ সালের ১৭ নভেম্বর সকাল ১০টায় জিয়ারুল নিজের রিকশাভ্যানে যাত্রী নিয়ে দিনাজপুরের চিরিরবন্দর উপজেলার ভুসিরবন্দর থেকে নীলফামারীর সৈয়দপুরে যাওয়ার পথে নিখোঁজ হন। অনেক খোঁজাখুঁজি করেও তাকে না পেয়ে চিরিরবন্দর থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন (২০ নভেম্বর ২০০৭) পরিবারের লোকজন। জিয়ারুলের বাড়ি চিরিরবন্দর উপজেলার তেতুলিয়া মণ্ডলপাড়ায়।
২০০৮ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি সৈয়দপুরের কুন্দর পুরাতন ঈদগাঁ মাঠ সংলগ্ন খড়খড়িয়া নদীর পাড় থেকে গলিত মৃতদেহ উদ্ধার করে সৈয়দপুর থানা পুলিশ। খবর পেয়ে জিয়ারুলের বাবা প্রতিম উদ্দীনসহ পরিবারের সদস্যরা পরনের কাপড় দেখে মৃতদেহ শনাক্ত করেন। এ ঘটনায় ওই দিনই নিহত ব্যক্তির বাবা প্রতিম উদ্দীন অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে সৈয়দপুর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। তদন্ত শেষে তিন নারীসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশ।
মামলার দীর্ঘ শুনানিতে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় দুপুরে আব্দুল কাদের ও গোলজার হোসেনকে এ সাজার আদেশ দেন আদালত।
অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় সাজার আদেশপ্রাপ্ত আব্দুল কাদেরের স্ত্রী শাপলা বেগম (২৭) ও তার মা অহিমা বিবি (৬০) এবং গোলজারের স্ত্রী মোসলে বুড়িকে (৩০) খালাস দেওয়া হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৪২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৬, ২০১৬
এসআই