ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

বেসরকারি খাতে ট্যুরিজম গাইড গড়ে তুলতে হবে

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৫৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৬, ২০১৬
বেসরকারি খাতে ট্যুরিজম গাইড গড়ে তুলতে হবে ছবি: শাকিল আহমেদ/ বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: দেশের পর্যটনকে আরো বেশি পরিচিত করতে প্রশিক্ষিত গাইড গড়ে তোলার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটন মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন। এ জন্য তিনি দেশের বেসরকারি খাতকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।



মঙ্গলবার (২৬ জানুয়ারি) ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির (ডিআইইউ) মিলনায়তনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন রাশেদ খান মেনন।

ডিআইইউ’র ট্যুরিজম ও হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট ডিপার্টমেন্ট ও মিডিয়া কমিউনিকেশনস ছায়াবীথির উদ্যোগে ‘অজন্তা ফ্যাশন বিউটিফুল বাংলাদেশ ফটোগ্রাফি কনটেস্ট ২০১৬’ তে  প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তিনি।

মেনন বলেন, ট্যুরিজমের অপার সম্ভাবনা থাকলেও বিশ্বের কাছে তেমন পরিচিত ছিল না বাংলাদেশ। কিন্তু বাংলাদেশের মানুষ এর পরিচিতি বাড়িয়েছে।

ট্যুরিজমকে আকর্ষণ করতে এবং এর অবকাঠামো উন্নয়নে সরকারকে বেসরকারি খাত ও সাধারণ মানুষ বাধ্য করেছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

পর্যটন খাতের প্রসারে ট্যুরিজম গাইডের ভূমিকা তুলে ধরে মেনন বলেন, পর্যটক আকর্ষণ করতে ট্যুরিজম গাইডের ভূমিকা অপরিসীম। ট্যুরিস্ট গাইড তৈরিতে বেসরকারি খাতের পাশাপাশি বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় এগিয়ে আসতে পারে। গাইডের পাশাপাশি অ্যাডভেঞ্চারাস ট্যুরিজম বিভাগও চালু করা যেতে পারে। এছাড়া বাংলাদেশি ট্যুরিজমকে বিদেশিদের সামনে তুলে ধরতে প্রবাসী বাংলাদেশিরাও ভূমিকা রাখতে পারে।

বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আকতারুজ্জামান খান কবীর বলেন, বাংলাদেশে প্রচুর পর্যটন স্পট থাকলেও প্রচারের অভাবে তা বিদেশিদের কাছে পরিচিত করতে পারিনি।

ডিআইইউ’র ট্রাস্টি বোর্ডে চেয়ারম্যান মো. সবুর খান বলেন, বিশ্বের প্রতিটি দেশে অন্তত একটি স্পটের কারণে সে দেশকে সারা পৃথিবী চেনে।

বাংলাদেশের জাতীয় সংসদকে সিটি কর্পোরেশন বা যেকোন প্রাইভেট সেক্টরের মাধ্যমে ব্র্যান্ডিং করলে বাংলাদেশকেও পর্যটনের জন্য বিশ্ব চিনবে বলেও জানান তিনি।

প্রতিযোগিতায় সারাদেশের ২৫০টি ছবি থেকে ৩০টি ছবি চূড়ান্তভাবে বাছাই করা হয়। এর মধ্যে ১০জনকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়।

১০ জনের মধ্যে প্রথম স্থান অধিকার করে শেখ আবু সিদ্দিক রতন। দ্বিতীয় কায়সার আহমেদ ও তৃতীয় হন মো. তারেক আনজুম।

প্রথম স্থান অধিকারীকে ৩০ হাজার, দ্বিতীয় স্থান অধিকারীকে ২০ হাজার ও তৃতীয় স্থান অধিকারীকে ১০ হাজার টাকা পুরস্কার দেয়া হয়। এছাড়া ক্রেস্ট ও সনদপত্র দেওয়া হয়।

অনুষ্ঠানে ডিআইইউ’র উপাচার্য প্রফেসর ড. ইউসুফ মাহাবুবুল ইসলাম, ট্যুরিজম ও হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের প্রধান মাহাবুব পারভেজ, ছায়াবীথির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা অজন্তা পাল ও পরিচালক আরিফ রাসেল বক্তব্য রাখেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৫৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৬, ২০১৬
আরইউ/আরআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।