সংসদ ভবন থেকে: মায়নামারের রোহিঙ্গা ইস্যু প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘মায়ানমারের রোহিঙ্গা রিফিউজি যারা এসেছে তাদের যথাসাধ্য সহযোগিতা দিচ্ছি। আমাদের যতটুকু করার করছি।
তিনি আরও বলেন, মায়ানমার দূতাবাসকে তাদের দেশের সরকারের কাছে ম্যাসেজ দিতে বলেছি, এমন কোনো অবস্থার সৃষ্টি করবেন না যেন ওখান থেকে রিফিউজি বাংলাদেশে আসে।
বুধবার (০৭ ডিসেম্বর) বিকেলে দশম জাতীয় সংসদে প্রধানমন্ত্রীর জন্য নির্ধারিত প্রশ্নোত্তর পর্বে জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য ফখরুল ইমামের এক সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
শেখ হাসিনা বলেন, প্রতিবেশী দেশে একটা ঘটনা ঘটেছে। যারা মায়ানমারের ৯ জন বর্ডার পুলিশকে হত্যা করেছে, সেনাবাহিনীর ওপর আক্রমণ করেছে, তাদের কারণে এটা হচ্ছে। যারা এই ধরনের ঘটনা ঘটালো তাদের কারণে হাজার হাজার নারী-পুরুষ-শিশু কষ্ট পাচ্ছে।
তিনি বলেন, যারা ঘটনা ঘটিয়েছে তারা বাংলাদেশে আছে কি না আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে নির্দেশ দিয়েছে তাদের খুঁজে বের করতে। যখনই আমরা পাব মায়ানমার পুলিশের হাতে দিয়ে দেব। বাংলাদেশের মাটি ব্যবহার করে কেউ প্রতিবেশী রাষ্ট্রে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ঘটাবে আমরা সেটা করতে দেব না।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ব্যবস্থা নিয়েছে। একদিকে মানবতার দিকটা দেখতে হচ্ছে, অন্যদিকে প্রতিবেশী দেশে যেন কোনো অঘটন না হয় সেদিকটাও দেখতে হচ্ছে বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
** ‘বাল্যবিবাহ আইনে বিশেষ ধারা বাস্তবতার নিরিখে’
** দ্বিতীয় পদ্মাসেতুর দাবি উঠলে বিবেচনা করব
** ‘জঙ্গিবাদ যথেষ্ট নিয়ন্ত্রণে’
বাংলাদেশ সময়: ১৭০২৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৭, ২০১৬
এসএম/এসকে/এমজেএফ