ঢাকা, বুধবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

খুলনায় অর্থ আত্মসাত মামলায় মুফতি গোলাম রহমান কারাগারে

ব্যুরো এডিটর | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১২৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৭, ২০১৬
খুলনায় অর্থ আত্মসাত মামলায় মুফতি গোলাম রহমান কারাগারে

খুলনায় অর্থ আত্মসাতের দু’টি মামলার প্রধান আসামি মুফতি গোলাম রহমানকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। ‘এহসান সোসাইটি’ নামের একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের অর্থ আত্মসাতের ঘটনায় মামলা দু’টি দায়ের করা হয়।

খুলনা: খুলনায় অর্থ আত্মসাতের দু’টি মামলার প্রধান আসামি মুফতি গোলাম রহমানকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। ‘এহসান সোসাইটি’ নামের একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের অর্থ আত্মসাতের ঘটনায় মামলা দু’টি দায়ের করা হয়।

বুধবার (৭ ডিসেম্বর) দুপুরে মুফতি গোলাম রহমান আদালতে হাজির হয়ে জামিনের আবেদন করলে খুলনা মহানগর হাকিম মো. আমিরুল ইসলাম জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

গত ২৯ নভেম্বর আদালত তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন।

প্রতিষ্ঠানটির খুলনা বিভাগীয় পরিচালক মুফতি গোলাম রহমান এহসান সোসাইটির কেন্দ্রীয় শরীয়াহ কাউন্সিলের সহ-সেক্রেটারি হিসেবে দায়িত্বে রয়েছেন। একই সঙ্গে তিনি নগরীর বাগমারাস্থ মারকাযুল ফিকহিল ইসলামী মাদ্রাসার পরিচালক।

মামলার অপর আসামি এহসান সোসাইটি খুলনার আঞ্চলিক ব্যবস্থাপক (ম্যানেজার) মো. রবিউল ইসলাম এখনও পলাতক রয়েছেন। আরেক আসামি এহসান সোসাইটি খুলনার এরিয়া সমন্বয়কারী মুফতি রশীদ আহমাদ আদালত থেকে জামিন নিয়েছেন।

এ তিন আসামির বিরুদ্ধে গত ২৭ অক্টোবর গ্রাহকদের পক্ষে মাঠকর্মী মো. আবুজর বাদী হয়ে মামলা দু’টি দায়ের করেন।

বাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট রজব আলী বাংলানিউজকে বলেন, আর্থ আত্মসাতের দু’টি মামলার প্রধান আসামি মুফতি গোলাম রহমান এতদিন পলাতক ছিল। বুধবার তিনি আদালতে হাজির হয়ে জামিনের আবেদন করলে আদালত জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

এহসান সোসাইটি খুলনা মহানগরী ও দিঘলিয়া উপজেলা থেকে ১০ কোটি ৯০ লাখ টাকা সংগ্রহ করে আত্মসাৎ করেছে বলে মাঠ-কর্মীরা অভিযোগ করেছেন। এর মধ্যে খুলনা সদর ও সোনাডাঙ্গা এলাকা থেকে এহসান সোসাইটিতে মাসিক সঞ্চয় বাবদ ৩ কোটি টাকা, খালিশপুর এলাকা থেকে দেড় কোটি টাকা এবং দিঘলিয়া উপজেলা থেকে ৪০ লাখসহ মোট ৪ কোটি ৯০ লাখ টাকা সংগ্রহ করা হয়। এছাড়া রিয়েল এস্টেটের (জমির ব্যবসা) নামে মাসিক মুনাফার নামে আরও সংগ্রহ করা হয় ৬ কোটি টাকা।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৩০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৭, ২০১৬
এমআরএম/জিপি/আরআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।