ঢাকা: মেট্রোরেল নির্মাণে এখন আর কোনো প্রকার প্রতিবন্ধকতা নেই জানিয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, নিরাপত্তা নিয়ে জাপানের সহযোগিতা সংস্থা-জাইকা আশ্বস্ত।
বৃহস্পতিবার (৮ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় বাস্তবায়নাধীন প্রকল্পসমূহ এবং অন্যান্য কার্যক্রমের অগ্রগতি পর্যালোচনা সভা শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা জানান।
মেট্রোরেলের (এমআরটি লাইন-৬) কাজ চলমান রয়েছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, এমআরটি লাইন-৬’র ৬টি প্যাকেজের টেন্ডার প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে, দু’টি প্যাকেজের প্রাক-যোগ্যতা যাচাই চলছে। ইউটিলিটি শিফটিং ও ডিপো ডেভেলপমেন্টের কাজ দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলছে।
“মেট্রোরেল প্রকল্পে এখন আর কোনো প্রকার প্রতিবন্ধকতা নেই। জাইকা, যারা ফান্ডিং করছে তাদেরও কোনো অভিযোগ নেই, সিকিউরিটি নিয়ে তাদের কনসার্ন ছিলো, সেটায় তারা এখন আশ্বস্ত”।
অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের জাপান সফরে নিরাপত্তা নিয়ে জাইকা পুরোপুরো আশ্বস্ত হবে বলে মনে করছেন ওবায়দুল কাদের।
“অর্থমন্ত্রী জাপান সফরে আছেন, সেখানে জাইকা হেড কোয়ার্টারে যাবেন এবং সিকিউরিটি নিয়ে আলাপ-আলোচনা হবে। আমার মনে হয়, সিকিউরিটি নিয়ে তারা পুরোপুরি আশ্বস্ত হবেন। তবে তার জন্য কাজ বন্ধ নেই, এমআরটি লাইন-৬’র কাজ চলছে”।
মেট্রোরেলের আরেকটি রুটের (এমআরটি-১) ফিজিবিলিটি স্ট্যাডি করতে এসে সাত জাপানি গুলশানে হলি আর্টিসানে রেস্তোরাঁয় সন্ত্রাসী হামলায় নিহত হয়।
৩৭ কিলোমিটারের (এমআরটি-১) প্রস্তাব তারা (জাইকা) আবার নিয়ে এসেছেন জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, এয়ারপোর্ট থেকে খিলক্ষেত, প্রগতি সরণি, মালিবাগ, কমলাপুরের দৈর্ঘ্য হবে ২৫ কিলোমিটার, এর মধ্যে ১২ কিলোমিটার পাতাল। আর খিলক্ষেত থেকে কেন্দুয়া ব্রিজ পর্যন্ত হবে ১২ কিলোমিটার।
এই রুটের জন্য জাইকা ৩ বিলিয়ন ডলারের একটি প্রস্তাব দিয়ে এমওডি সই করেছে বলে জানান মন্ত্রী।
আরেকটি রুটের প্রসঙ্গ তুলে ধরে মন্ত্রী বলেন, এমআরটি লাইন-৫ হবে ভাটারা থেকে নতুন বাজার, গুলশান, বনানী, মিরপুর-১ পর্যন্ত ২১ কিলোমিটার। এটার ফিজিবিলিটি স্ট্যাডি চলছে। এখানে জাইকা ও এডিবি যৌথভাবে অর্থায়ন করবে, ২০২৬ সালে শেষ হবে এই প্রকল্প।
সভায় বিভিন্ন প্রকল্পের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বিশ্বব্যাংক পদ্মাসেতু থেকে মুখ ফিরিয়ে নিলেও এয়ারপোর্ট থেকে মহাখালী পর্যন্ত উড়ালসড়ক নির্মাণে অংশগ্রহণ করতে চায় বলে জানান মন্ত্রী। প্রাথমিকভাবে তারা ২৫০ মিলিয়ন ডলারের প্রস্তাব নিয়ে এসেছে, আশা করছি জানুয়ারিতে অনুমোদন পাবে।
চট্টগ্রাম বন্দর থেকে ২২৫ কিলোমিটারের কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত-টেকনাফ পর্যন্ত এশিয়ান হাইওয়ের জন্য চীনের প্রস্তাবিত সংযোগ সড়কের জন্য বিশ্বব্যাংকের কাছে প্রস্তাব করা হয়েছে বলে জানান মন্ত্রী। আগামী জানুয়ারিতে অনুমোদন আশা করছেন ওবায়দুল কাদের।
বাংলাদেশ সময়: ১৪২০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৮, ২০১৬
এমআইএইচ/এটি