গাজীপুর: দাফনের ৩ মাস ১২ দিন পর আদালতের নির্দেশে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের বাহাদুরপুর এলাকা থেকে সোহাগ রানা (২৬) নামে এক যুবকের মরদেহ উত্তোলন করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (০৮ ডিসেম্বর) দুপুরে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ মামুন শিবলীর নেতৃত্বে কবর থেকে মরদেহ উত্তোলন করা হয়।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, গাজীপুর সিটি করপোরেশনের বাহাদুরপুর এলাকার মুক্তিযোদ্ধা ওসমান গনির ছেলে সোহাগ রানা (২৬) গত ২৮ আগস্ট নিখোঁজ হন।
আত্মীয়ের বাড়িতে খোঁজাখুঁজি করেও তাকে পাওয়া যায়নি। এক পর্যায়ে ঘটনার দু’দিন পর নিহতের মা সোহাগে ঘরে তালা লাগানো দেখতে পান। বিষয়টি সন্দেহ হলে ঘরের তালা ভেঙে ভেতরে ঢুকে বিছানার উপর সোহাগ রানার মরদেহ পড়ে থাকতে দেখেন। স্বাভাবিক মৃত্যু মনে করে মরদেহ পারিবারিকভাবে দাফন করা হয়।
দাফনের পর নিহতের পিতা ওসমান গনি বিষয়টি হত্যার ঘটনা জানতে পেরে জয়দেবপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
নিহত সোহাগ রানার খালা নাসরিন সুলতানা জানান, ওই এলাকায় তাদের প্রতিবেশি হানিফ ও তার ছেলে জাকির হোসেনের মাদক ব্যবসায় বাধা দেওয়ায় সোহাগ রানার সঙ্গে তাদের শত্রুতা ছিল। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে সোহাগ রানাকে দু’বার হত্যার চেষ্টা করে তারা। এক পর্যায়ে আসামিরা সোহাগের সঙ্গে বন্ধুত্ব করে তাকে মদ্য পান করিয়ে হত্যা করে লুকিয়ে মরদেহ তারই (সোহাগের) ঘরে রেখে বাহিরে তালা লাগিয়ে রাখে।
নিহত সোহাগের মা সেলিনা মল্লিক জানান, মাদক ব্যবসায়ী জাকির হোসেনের দুই স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়ার সূত্র ধরে তার এক স্ত্রী আমার কাছে ঘটনা ফাঁস করে দেয়। এরপর সোহাগের পিতা মুক্তিযোদ্ধা ওসমান গনি বাদী হয়ে জয়দেবপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ মামুন শিবলী জানান, গাজীপুর জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের নির্দেশে তিন মাস ১৩ দিন পর মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কবর থেকে উত্তোলন করা হয়। পরে মরদেহ গাজীপুর শহীদ তাজ উদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
জয়দেবপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. জাফর জানান, আদালতের নির্দেশে মরদেহ তিন মাস ১৩ দিন পর কবর থেকে উত্তোলন করা হয়েছে। মামলার তদন্ত চলছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৮, ২০১৬
আরএস/বিএস