সংসদ ভবন থেকে: বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান অবস্থার প্রেক্ষিতে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন, আদর্শের ভিত্তিতে নয়। তিনি প্রকৃত পক্ষে একজন আদর্শিক মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন না বলে মন্তব্য করেছেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক।
বৃহস্পতিবার (০৮ ডিসেম্বর) বিকেলে জাতীয় সংসদের ত্রয়োদশ অধিবেশনে সরকার দলীয় সংসদ সদস্য হাবিবুর রহমান মোল্লার এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।
মন্ত্রী বলেন, মেজর জিয়াউর রহমান মুক্তিযুদ্ধের সময় বঙ্গবন্ধুর পক্ষে ২৭ মার্চ স্বাধীনতার ঘোষণা পাঠ করেছিলেন। তিনি একজন সেক্টর কমান্ডার ও পরে জেড ফোর্সের কমান্ডার ছিলেন। তবে তিনি গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথা মুজিবনগর সরকারের অধীনে যুদ্ধ না করে ওয়্যার কাউন্সিল গঠন করে মুক্তিযুদ্ধ করার প্রস্তাব করায় যুদ্ধকালীন প্রধান সেনাপতি জেনারেল এম এ জি ওসমানী তাকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করেছিলেন।
পরবর্তীতে তিনি ক্ষমা প্রার্থনা করে পুনরায় সেক্টর কমান্ডারের দায়িত্ব পালন করেন। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে খুনি খন্দকার মোশতাকের দোসর হিসেবে পাকিস্তানের সাথে লস কনফেডারেশন গঠনের চক্রান্তে জড়িত ছিলেন, যোগ করেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী।
মোজাম্মেল হক আরও বলেন, ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুর হত্যার পর প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক হিসেবে বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত খুনিদের দূতাবাসে চাকরি দিয়েছেন তিনি (জিয়াউর রহমান)। বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত খুনিদের বিচার বন্ধ করার জন্য ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ আইন সভা অনুমোদন করেন এবং মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী শাহ আজিজকে প্রধানমন্ত্রী, যুদ্ধাপরাধী আব্দুল আলীমসহ স্বাধীনতা বিরোধীদের মন্ত্রী সভায় স্থান দিয়ে ধর্মভিত্তিক রাজনীতি চালু করে প্রমাণ করেছেন যে, তিনি প্রকৃত পক্ষে একজন আদর্শিক মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন না।
মন্ত্রী আরও বলেন, পাক-হানাদার বাহিনীর সমর্থক ছিলেন বলেই ২৫ মার্চ ১৯৭১ সালে সোয়াত জাহাজ থেকে পাকিস্তানি সমরাস্ত্র খালাস করতে উদ্যোগী ছিলেন তিনি (জিয়াউর রহমান)।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৮, ২০১৬
এসএম/এসকে/এমজেএফ