ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

মুক্তিযোদ্ধা তালিকার যাচাই-বাছাই জানুয়ারিতে শুরু

বাংলানিউজ টিম | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১৩৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৮, ২০১৬
মুক্তিযোদ্ধা তালিকার যাচাই-বাছাই জানুয়ারিতে শুরু

জানুয়ারিতে মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা যাচাই-বাছাই শুরু হবে বলে জানিয়েছেন মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক। জানুয়ারির প্রতি শনিবারে চলবে যাচাই-বাছাইয়ের কাজ। আগামীকাল (শুক্রবার) অধিকাংশ পত্রিকায় এ সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি যাবে বলেও জানান তিনি।

সংসদ ভবন থেকে: জানুয়ারিতে মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা যাচাই-বাছাই শুরু হবে বলে জানিয়েছেন মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক। জানুয়ারির প্রতি শনিবারে চলবে যাচাই-বাছাইয়ের কাজ।

আগামীকাল (শুক্রবার) অধিকাংশ পত্রিকায় এ সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি যাবে বলেও জানান তিনি।

বৃহস্পতিবার (০৮ ডিসেম্বর) বিকেলে দশম জাতীয় সংসদের ত্রয়োদশ অধিবেশনে জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য নুরুল ইসলাম মিলনের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন মোজাম্মেল হক।

তিনি বলেন, জানুয়ারি মাসের ৭, ১৪, ২১, ২৮ প্রতি শনিবার ও ফেব্রুয়ারি মাসের ৪ শনিবার মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা যাচাই-বাছাই কার্যক্রম চলবে। ভারতীয় তালিকাভুক্ত ও ২০০১ সালে লাল মুক্তিবার্তায় যাদের নাম আছে তারা বাদে যারা মুক্তিযোদ্ধা সনদের জন্য আবেদন করেছেন তাদের তালিকা যাচাই-বাছাই করা হবে।

মন্ত্রী বলেন, ৫৫ হাজার গেজেটভুক্ত মুক্তিযোদ্ধা রয়েছে। এছাড়া অনলাইনে প্রায় লক্ষাধিক আবেদন রয়েছে। এদের তালিকা যাচাই-বাছাই করা হবে। যাচাই-বাছাই হবে স্ব স্ব উপজেলায়।

তিনি বলেন, যাচাই-বাছাই কমিটির সভাপতি হবেন সংসদ সদস্য, যদি মুক্তিযোদ্ধা হন, না হলে মুক্তিযুদ্ধকালীন জেলা কমান্ডার, যাকে মন্ত্রণালয় নিয়োগ দেবে। এছাড়া জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল (জামুকা) বিভাগীয় সদস্য, কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলের প্রতিনিধি, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের সদস্য,  সংসদ সদস্যের একজন মনোনীত প্রতিনিধি। মোট ৬ জন যাচাই-বাছাই কমিটিতে থাকেবন। তাদের সাচিবিক সহায়তা করবেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও)। এ সময় উপস্থিত থাকবেন লালমুক্তি বার্তার তালিকাভুক্ত মুক্তিযোদ্ধারা ও ভারতীয় তালিকাভুক্ত মুক্তিযোদ্ধারা।

মন্ত্রী আরও বলেন, যাচাই-বাছাই কমিটিতে কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকলে ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে অভিযোগ করতে হবে। কেউ অভিযুক্ত হলে তাকে একটা ফরম পূরণ করতে হবে। এই ফরমে তথ্য দিতে হবে সে কোথায় মুক্তিযুদ্ধ করেছে, তার কমান্ডার কে ছিল, কী অস্ত্র ব্যবহার করেছিল। পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর সাথে সরাসরি যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছে কি না? আর মুক্তিযোদ্ধা হতে হলে আমরা একটা বয়স নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে। মুক্তিযোদ্ধা হলে ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ ১৩ বছর বয়স হতে হবে।

এদিকে জাতীয় পার্টির অপর সদস্য ফখরুল ইমামের অপর এক সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে মোজাম্মেল হক বলেন, টাকা নিয়ে বসে আছি। জায়গার অভাবে মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স বানাতে পারছি না। আমাদের টাকার কোনো অভাব নেই। সরকারি বিধি-বিধান অনুযায়ী জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে তালিকা এলে আমরা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স করে দেব।

** ‘অবস্থার প্রেক্ষিতে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন জিয়া’

বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৮, ২০১৬
এসএম/এসকে/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।