সংসদ ভবন থেকে: জলবায়ু পরিবর্তনজনিত কারণে বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশের কৃষি উৎপাদনে বিরূপ প্রভাব পড়েছে। জলবায়ু পরিবর্তনজনিত কারণে কৃষিতে সৃষ্ট সমস্যা নিরসনে সরকার সচেষ্ট বলে জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী।
বৃহস্পতিবার (০৮ ডিসেম্বর) বিকেলে জাতীয় সংসদে লক্ষ্মীপুর-৪ আসনের সংসদ সদস্য মো. আব্দুল্লাহর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে কৃষি ক্ষেত্রের প্রভাব মোকাবেলায় রামগতি ও কমলনগর উপজেলায় লবণাক্ততা সহিষ্ণু ধানের চাষ, জলাবদ্ধতা সহিষ্ণু ধানের চাষ, খরা সহিষ্ণু ফসল ও ধানের চাষ, বিষমুক্ত সবজি ও সমন্বিত বালাই ব্যবস্থাপনা (আইপিএম) পদ্ধতিতে ধান চাষ এবং সেচের পানি কম লাগে এমন ফসলের চাষ এবং জৈব সারের ব্যবহার কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে।
রাজশাহী-৩ আসনের সংসদ সদস্য মো. অয়েন উদ্দিনের অপর এক প্রশ্নের জবাবে মতিয়া চৌধুরী বলেন, বর্তমান সরকার দেশের কৃষকদের সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধিসহ আধুনিক চাষাবাদ করার লক্ষ্যে বিভিন্ন কার্যক্রম নিয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে, সারের ক্রয় মূল্য কমিয়ে সুষম সার ব্যবহার নিশ্চিতকরণ, বোরো মৌসুমে সেচ কাজে নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহে অগ্রাধিকার, উচ্চ ফলনশীল ও মানসম্পন্ন বীজের সরবরাহ বৃদ্ধি, সাশ্রয়ী মূল্যে বিদ্যুৎ দ্বারা সেচ প্রদানে স্মার্ট কার্ড প্রচলন, বর্তমান ইউরিয়া, টিএসপি, এমওপি ও ডিএপি সারের বাজার মূল্য কেজি প্রতি যথাক্রম ১২টাকা, ২২ টাকা, ১৫ টাকা এবং ২৫ টাকা নিধারণ।
কৃষিমন্ত্রী জানান, বর্তমান সরকার কৃষকদের আধুনিক পদ্ধতি ও প্রযুক্তির মাধ্যমে সেচ সুবিধা দিয়ে অধিক ফসল উৎপাদনের জন্য বিভিন্ন ব্যবস্থা প্রদানের মাধ্যমে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়নমূলক কাজ বাস্তবায়নের আওতায় ২০০৯-১০ থেকে ৪৫টি প্রকল্প ও ১৬৪ টি কর্মসূচির সেচ উন্নয়নমূলক কাজ বাস্তবায়ন করছে এবং তা অব্যাহত আছে।
**পল্লী সঞ্চয় ব্যাংক বিল পাস
** ‘অবস্থার প্রেক্ষিতে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন জিয়া’
বাংলাদেশ সময়: ১৮০৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৮, ২০১৬
এসএম/এসকে/এমজেএফ