সংসদ ভবন থেকে: মায়ানমারের রোহিঙ্গা ইস্যুতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ে ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিরোধী দলীয় নেতা বেগম রওশন এরশাদ।
তিনি বলেন, আমাদের প্রশ্ন জাতিসংঘ রোহিঙ্গা বিতাড়নের বিরুদ্ধে মায়ানমারের তথাকথিত গণতান্ত্রিক সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টি করছে না কেন? কেন চুপ করে আছে বিশ্বের পরাশক্তি, মহাশক্তিধর রাষ্ট্রগুলো?
বৃহস্পতিবার (০৮ ডিসেম্বর) রাতে দশম জাতীয় সংসদের ত্রয়োদশ অধিবেশনের সমাপনী বক্তৃতায় এসব কথা বলেন রিরোধী দলীয় নেতা।
রওশন এরশাদ বলেন, রোহিঙ্গা মুসলমান সম্প্রদায় জনসংখ্যার বিচারে গৌণ, রাজনৈতিক শক্তিতে দুর্বল। তারা রক্ষণশীল। তাদের স্বাতন্ত্রবাদী সংগ্রাম চালানোর ক্ষমতা বা ইচ্ছা কোনটাই নেই। পূর্বোক্ত একাধিক কারণে বার্মিজ রাজনীতি, মায়ানমারের রাজনীতি সংঘাতে অস্থির, সংক্ষুব্ধ।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ এতটাই ঘনবসতির দেশ যে তার পক্ষে স্থায়ী শরণার্থী গ্রহণ করা সম্ভভ নয়। দীর্ঘ সময় আগে বিতাড়িত রোহিঙ্গা জনস্রোত চট্টগ্রাম-মায়ানমার সীমান্তবর্তী বাংলাদেশ ভূখণ্ডে আশ্রয় নেয় শরণর্থী হিসেবে। তারা এখন এদেশে প্রায় স্থায়ী বাসিন্দা। কিন্তু বিষয়টি বাংলাদেশের বড় সমস্যা। এসব রোহিঙ্গা নিয়ে চলছে এনজিও এবং সাম্রাজ্যবাদী চক্রান্ত, যা শুধু দূষিত রাজনীতিই না, সাম্প্রদায়িকতার আগুনেও জ্বালানি যোগ করতে তৎপর।
তিনি আরও বলেন, আমাদের কেউ কেউ মনে করেন, মানবিক কারণে তাদের এদেশের মাটিতে আশ্রয় দেওয়া উচিত। অন্যদিকে সংখ্যাগরিষ্ঠ বাঙালির মতামত সম্পূর্ণ বিপরীত। আরো সমস্যা জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা বাংলাদেশ সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টি করছে ‘রোহিঙ্গার জন্য সীমান্ত খোলা রাখতে। ’
কিন্তু আমাদের প্রশ্ন জাতিসংঘ রোহিঙ্গা বিতাড়নের বিরুদ্ধে মায়ানমারের তথাকথিত গণতান্ত্রিক সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টি করছে না কেন? কেন চুপ করে আছে বিশ্বের পরাশক্তি, মহাশক্তিধর রাষ্ট্রগুলো। সামরিক জান্তার গণহত্যা বিরুদ্ধে সবাই চুপ কেন? বিশেষ করে মায়ানমারের সরকার প্রধান যখন তাদের ভাষায় গণতন্ত্রের মানসপুত্রী অং সান সু চি, যাকে সাম্রাজ্যবাদীরা দীর্ঘদিনের চেষ্টায় মায়ানমারের সিংহাসনে বসাতে পেরেছে। তার জন্য ‘শান্তির নোবেল পুরস্কার’ বরাদ্দের ব্যবস্থা করেছে।
বাংলাদেশ সময়: ২০২৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৮, ২০১৬
এসএম/এসকে/এমজেএফ