কেরানীগঞ্জ, ঢাকা: রাজধানীর কামরাঙ্গীচরের আশ্রাফাবাদ মাদ্রাসা রোডের ১০তলা ভবনে ‘ইসলামিয়া ডিপার্টমেন্টাল স্টোর’। বিভিন্ন জায়গা থেকে ডাকাতি করে আনা মালামাল এখানে রেখে বিক্রি করতেন ডাকাত সর্দার মনতাজুল।
বৃহস্পতিবার (০৮ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় সরেজমিনে ‘ইসলামিয়া ডিপার্টমেন্টাল স্টোরের’ সামনে গিয়ে দেখা যায় দোকানটি তালাবদ্ধ।
স্থানীয়রা জানান, দোকানটি ৩ সপ্তাহ ধরে বন্ধ। দোকানে কোনো নির্দিষ্ট কেউ বসতেন না, একেক সময় একেকজন লোককে বেচাকেনা করতে দেখতেন এলাকাবাসী। স্থানীয় কেউ ওই দোকানদারের নামও বলতে পারেন না।
স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, ‘হুনছি এই দোহানের মালিকের বাড়ি শরীয়তপুর। তয় কে মালিক তারে কহনো দেহি নাই। এই দোহানে বহুত কাবজাব (ঝামেলা) আছে। দোহানে নানান পদের মাইনসের আহা যাওয়া। ’
এই দোকানের পাশের এক দোকানি বলেন, ‘দোকানের মালিক কে তা কখনো দেখিনি। তবে, একেক সময় একেকজন দোকানদারি করতো। শুনেছি এ দোকানের যারা মালিক তারা সবাই ডাকাতির মামলায় আটক হইছে। এর বেশি আমি কিছু জানি না। ’
এ ব্যাপারে নিহত ডাকাত সর্দার মনতাজুলের স্ত্রী নাজমা বেগম বাংলানিউজকে বলেন, ‘আমাদের গ্রামের বাড়ি শরীয়তপুর জেলার পালং থানার চরসন্ধী গ্রামে। আমি আমার স্বামীর সঙ্গে রাজধানীর ওয়ারী এলাকায় ভাড়া থাকতাম। কামরাঙ্গীচরে ইসলামিয়া ডিপার্টমেন্টাল স্টোর নামে আমাদের একটি দোকান ছিলো। ১ মাস আগে আমার স্বামী দোকানটি ছেড়ে দেন। এখনো দোকানের মালামাল নেওয়া হয়নি। ’
ঢাকা জেলা দক্ষিণ গোয়োন্দা পুলিশের উপ-পরিদর্শক রবি চরণ চৌহান বাংলানিউজকে বলেন, কামরাঙ্গীচরের ইসলামিয়া ডিপার্টমেন্টাল স্টোর নামে দোকানটি নিহত ডাকাত সর্দার মনতাজুলের। তিনি ওই দোকানের আড়ালে ডাকাতির মাল ভাগ বাটোয়ারা এবং বেচাকেনা করতেন।
বুধবার (০৭ ডিসেম্বর) রাতে কেরানীগঞ্জে পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে ডাকাত সর্দার মনতাজুল ও তার সহযোগী সবুজ নিহত হন।
বাংলাদেশ সময়: ২০৫৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৮, ২০১৬
পিসি/