কেরানীগঞ্জ, ঢাকা: কেরানীগঞ্জে পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত দুই ডাকাত সদস্যের মরদেহের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৮ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা ৭টার দিকে স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে এসে স্বজনের খোঁজে মর্গের বারান্দায় বসে কাঁদছেন নাজমা নামে এক নারী।
মরদেহের ময়নাতদন্ত চলছিলো বিধায় তাকে মরদেহের সামনে নেওয়া যায়নি। পরে মোবাইল ফোনে নিহত ২ ডাকাতের গুলিবিদ্ধ ছবি দেখালে তাদের মধ্যে একজনকে নিজের স্বামী বলে পরিচয় দেন কান্নারত ওই নারী। কিন্তু সেখানেই বাধে বিপত্তি!
পুলিশ সুরতহাল প্রতিবেদনে যে যুবকের নাম লিখেছে ‘সবুজ’। ওই নারী দাবি করছেন সে যুবকের নামই ‘মনতাজুল’ পুরো নাম কবির আহমেদ মনতাজুল।
এদিকে, সুরতহাল প্রতিবেদনে যে যুবকের নাম ‘মনতাজুল’ উল্লেখ করা হয়েছে তাকে কখনো দেখেনি ওই নারী।
এ ব্যাপারে মর্গ কর্তৃপক্ষ সুরতহাল প্রস্তুতকারী কর্মকর্তাকে ফোন করে বিষয়টি জানালে কিছুক্ষণের মধ্যেই ওই কর্মকর্তা মর্গে হাজির হন।
এসময় সুরতহাল প্রস্তুতকারী কর্মকর্তা কেরানীগঞ্জ মডেল থানার উপ-পরিদর্শক আবু হেনা মো. মোস্তফা রেজা বাংলানিউজকে বলেন, ‘আমি প্রথমে অজ্ঞাতপরিচয়ে ২ যুবককে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিয়ে আসি। এসময় হাসপাতালে দায়িত্বরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন। পরে বিকেলে আমি ওই দুই যুবকের মরদেহের সুরতহাল প্রতিবেদন করি। এতে হয়তো কিছুটা ভুল হয়েছে। আমি এখনই ঠিক করে দিচ্ছি। ’
এদিকে, ফেসবুকের যে আইডিটি পুলিশ মনতাজের বলে দাবি করছে, ওই নারী সে আইডিটি দেখে প্রোফাইল পিকচারের ছবি চিনতে পারেননি। তিনি বাংলানিউজকে বলেন, ফেসবুকের ছবি আমার স্বামীর নয়। তবে, ‘সবুজ’ নামে যিনি মারা গেছেন সে আমার স্বামী ‘কবির আহমেদ মনতাজ’।
বাংলাদেশ সময়: ২১২৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৮, ২০১৬
পিসি/