ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

রোহিঙ্গা গণহত্যা

জাতিসংঘ-ওআইসি ‘ডেড হর্স’

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৩৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৮, ২০১৬
জাতিসংঘ-ওআইসি ‘ডেড হর্স’

মুসলমান রোহিঙ্গাদের সঙ্গে মায়ানমারের বর্বরোচিত আচরণ বন্ধে জাতিসংঘসহ সব দেশেকে ঐক্যবদ্ধ উদ্যোগ গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সভাপতি আ স ম আব্দুর রব।

ঢাকা: মুসলমান রোহিঙ্গাদের সঙ্গে মায়ানমারের বর্বরোচিত আচরণ বন্ধে জাতিসংঘসহ সব দেশেকে ঐক্যবদ্ধ উদ্যোগ গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সভাপতি আ স ম আব্দুর রব।  

বৃহস্পতিবার (০৮ ডিসেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বিক্ষোভ মিছিলপূর্ব সংক্ষিপ্ত সমাবেশে তিনি এ আহ্বান জানান।

 

তিনি বলেন, মায়ানমারের রাখাইন ও আরাকানে মুসলিম রোহিঙ্গাদের ওপর ওই দেশের সেনাবাহিনী, পুলিশ ও সীমান্তরক্ষী বাহিনীরা হত্যা, ধর্ষণ অগ্নিসংযোগ চালাচ্ছে। মুসলমান রোহিঙ্গাদের দেশ থেকে বিতাড়িত করছে। তারা যে বর্বরতা চালাচ্ছে তা মানবতাবিরোধী। কিন্তু কেউ কিছুই বলছে না। এই অপরাধ বন্ধ করতে জাতিসংঘসহ বিশ্বের সব দেশকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কঠোর উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে।
 
তিনি বলেন, জাতিসংঘ এ বিষয় কিছুই বলছে না। এদিকে অর্গানাইজেশন অব ইসলামিক কোঅপারেশানও (ওআইসি) চুপ করে আছে। জাতিসংঘ ও ওআইসি ‘ডেড হর্স’। জাতিসংঘের সাবেক মহাসচিব বান কি মুন মায়ানমারে গিয়েছিলো। সেখানে গিয়ে তিনি পরিস্থিতি দেখে এসেছে বলেছেন, এটা গণহত্যা নয়, সহিংসতা। আমি বলতে চাই এটা সহিংসতা নয় গণহত্যা। আর সহিংসতা এক পক্ষে হয় না।

তিনি বলেন, বৌদ্ধদের মধ্যে জীব হত্যা মহাপাপ। তবে সেখানে তারা কি করছে? আর মুসলমান রোহিঙ্গারা কি মানুষ নাকি জীব। তাদের এখন মহাপাপ হচ্ছে না? 

অবিলম্বে এ বিষয়ে জাতিসংঘকে একটি বৈঠকে বসার জন্য অনুরোধ জানাচ্ছি। আমাদের সরকারের পক্ষ থেকে যেন এ বিষয়ে আলোচনা করা হয়।  

এদিকে সমাবেশে দলের সহসভাপতি তানিয়া ফেরদৌসী বলেন, বিশ্বের মানবতা আজ কোথায়? মায়ানমারে রোহিঙ্গা শিশুরা মুখ থুবড়ে পড়ে আছে মাটিতে। বিশ্বের সবার মানবতা আজ কেন জাগ্রত হচ্ছে না।

তিনি বলেন, ধর্ম নিয়ে অধর্মের কাজ চলছে। আর এ নির্মমতায় সারা বিশ্বের মানবতা আজ চুপ করে আছে।  

তিনি বলেন, একটি বাগানে হাজারও প্রজাতির ফুল থাকে, এতে বাগানের শোভা বাড়ে। তেমন একটি জনপদে বিভিন্ন জাতি থাকলে সেখানেও জনপদের শোভা বাড়ে।  

এ গণহত্যার মূলে রয়েছে লোভ, জায়গা, সম্পত্তি। এ হত্যার বিরুদ্ধে আমরা তীব্র নিন্দা জানাই।  

সমাবেশ শেষে দলের পক্ষ থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে প্রেস ক্লাবের সামনে থেকে গুলিস্থান হয়ে আবার প্রেস ক্লাবের সামনে এসে শেষ হয়।

সমাবেশে এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন, দলের সাধারণ সম্পাদক আবদুল মালেক রতন, এম এ গোফরান, আতাউর করিম ফারুক, সিরাজ মিয়া, কামাল উদ্দিন পাটোয়ারী প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ২১১৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৮, ২০১৬
এসজেএ/এসএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।