ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

আর্টিসানে হত্যাযজ্ঞ শেষে চিংড়ি রাঁধতে বলেছিলো জঙ্গিরা

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০০৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৯, ২০১৬
আর্টিসানে হত্যাযজ্ঞ শেষে চিংড়ি রাঁধতে বলেছিলো জঙ্গিরা ছবি: আনোয়ার হোসেন রানা / বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

গত ১ জুলাই গুলশানের হলি আর্টিসান রেস্তোরাঁয় হত্যাকাণ্ড চালিয়ে বাবুর্চিকে চিংড়ি মাছের ভুনা রাঁধতে বলেছিলো জঙ্গিরা। এটা আমাদের বাংলাদেশেই হয়েছে। আর এটা ইতিহাস বিকৃতির কারণে হচ্ছে।

ঢাকা: গত ১ জুলাই গুলশানের হলি আর্টিসান রেস্তোরাঁয় হত্যাকাণ্ড চালিয়ে বাবুর্চিকে চিংড়ি মাছের ভুনা রাঁধতে বলেছিলো জঙ্গিরা। এটা আমাদের বাংলাদেশেই হয়েছে।

আর এটা ইতিহাস বিকৃতির কারণে হচ্ছে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী সিনেট ভবনে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় অংশ নিয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর শুক্রবার (৯ ডিসেম্বর) এসব কথা বলেছেন।

তিনি বলেন, “হলি আর্টিসানে সেদিন বিদেশিসহ ২০ জনকে হত্যা করা হয়। এদের মধ্যে একজন গর্ভবতী মাও ছিলেন। জঙ্গিরা তাদের হত্যা করে, রক্তের ওপর বসে বাবুর্চিকে চিড়িং মাছ রাঁধতে বলেছিলো। বলেছিলো-চিংড়ি মাছে ভুনা দিয়ে ভাত খাবে। এই যে দানব, এটা কিন্তু আমাদের বাংলাদেশেই হয়েছে”।

আসাদুজ্জামান বলেন, “ইতিহাস পড়ানো নিয়ে কোনো আপত্তি নেই। কিন্তু সবচেয়ে বাজে কাজটাই হয়েছে ১৯৭৫ সালের পর। এ সময় ইতিহাসকে বিকৃত করা হয়েছে। যার প্রভাব পড়েছে আজকের প্রজন্মের ওপর। আজকে যে জঙ্গিবাদ হচ্ছে, তার ওপর কিছুটা হলেও সেই ইতিহাস বিকৃতির প্রভাব রয়েছে। তাই জঙ্গিবাদ রুখতে সঠিক ইতিহাস-ঐতিহ্য নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে হবে”।

১ জুলাই সন্ধ্যার দিকে গুলশান ৭৯ নম্বর সড়কে বিদেশিদের কাছে জনপ্রিয় ক্যাফে হলি আর্টিসানে ঢুকে জঙ্গিরা অস্ত্রের মুখে উপস্থিত সবাইকে জিম্মি করে। তাদের উদ্ধার করতে গিয়ে নিহত হন দুই পুলিশ কর্মকর্তা। এছাড়া সন্ধ্যার পর ১৭ বিদেশিসহ ২০ জনকে হত্যা করে জঙ্গিরা।

বাংলাদেশ হিস্ট্রি অ্যাসোসিয়েশনের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে এ আলোচনা সভার আয়োজন কর‍া হয়। সংগঠনের সভাপতি অধ্যাপক শরীফ উল্লাহ্ ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে সভায় অন্যদের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আব্দুল মান্নান, সিকাগো বিশ্বাবিদ্যালয়ের অধ্যাপক দীপেশ চক্রবর্তী, অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম, অধ্যাপক আব্দুল মমিন চৌধুরী প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

অনুষ্ঠানে ইতিহাস গবেষণায় অবদান রাখায় ভারতীয় অধ্যাপক ড. সুমিত সরকার, অধ্যাপক ড. আব্দুল মমিন চৌধুরী ও অধ্যাপক ড. এম মোফাখখারুল ইসলামকে স্বর্ণ পদক প্রদান করে বাংলাদেশ হিস্ট্রি অ্যাসোসিয়েশন।

বাংলাদেশ সময়: ১৬০০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৯, ২০১৬
ইইউডি/এটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।