ঢাকা: বাংলাদেশ সীমিত সম্পদের দেশ হওয়া সত্ত্বেও এখানে আশ্রয় নিতে আসা মানুষের জন্য সর্বোচ্চটুকু করছে বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্র সচিব মো. শহীদুল হক।
বৃহস্পতিবার (৯ ডিসেম্বর) ঢাকার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সংবাদ সম্মেলন কেন্দ্রে অভিবাসনবিষয়ক আন্তর্জাতিক সম্মেলন গ্লোবাল ফোরাম অন মাইগ্রেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের (জিএফএমডি) সুশীল সোসাইটি অংশের সমাপনী অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি।
শহীদুল হক বলেন, জিএফএমডি সিভিল সোসাইটিতে যেসব আলোচনা হয়েছে, সেগুলো কার্যকর করার মাধ্যমে অভিবাসীদের জন্য নিরাপদ পৃথিবী গড়তে হবে।
তিনি জানান, চুক্তির জন্য ২০১৮ সাল পর্যন্ত অপক্ষো করলে চলবে না। পুরো পৃথিবীর জন্য টেকসই উন্নয়নের যে লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে, সেটি বাস্তবায়ন করতে হবে।
সুশীল সমাজের শক্তিশালী ভূমিকার মাধ্যমে জলবায়ুর মতো বিষয়ে একটি শক্তিশালী নীতিমালা তৈরি হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, অভিবাসনের ক্ষেত্রে তাই নাগরিক সমাজের শক্তিশালী ভূমিকা জরুরি।
বাংলাদেশের উন্নয়নে সুশীল সমাজ ও বেসরকারি সংস্থাগুলোর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার কথা স্বীকার করে তিনি বলেন, এক সময় তলাবিহীন ঝুড়ি থেকে গত কয়েক বছর ধরে একটানা ৭ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন করছে বাংলাদেশ। যা আগামী কয়েক বছরের মধ্যে আট থেকে ১০-এ পৌঁছাবে। এরজন্য দেশের সুশীল সমাজ ও বেসরকারি সংস্থাগুলোর অনন্য ভূমিকা রয়েছে।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন জিএফএমডি সিভিল সোসাইটির সমন্বয়ক কলিন রাজা, আইসএমসি’র পরিচালক জন বিংহাম।
এবারের সম্মেলনে জাতিসংঘ মহাসচিবের আন্তর্জাতিক অভিবাসনবিষয়ক বিশেষ প্রতিনিধি গ্রেগরি মানিয়াতিস, ইউএন উইমেনের উপনির্বাহী পরিচালক লাকসমি পুরি, আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার মহাপরিচালক গাই রেডার, আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার (আইওএম) মহাপরিচালক উইলিয়াম ল্যাসি সুইং, জাতিসংঘের অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়ন বিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারিন জেনারেল উহংবো উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আগামী ১২ ডিসেম্বর এ অধিবেশনের সমাপনী ঘোষণা করবেন।
এবারের জিএফএমডি চেয়ারম্যান হিসেবেই বাংলাদেশ এই সম্মেলনের আয়োজক। বিশ্বের ১২০টি দেশ, জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থা, নাগরিক সমাজ ও দেশি–বিদেশি বেসরকারি সংস্থার প্রায় পাঁচ শতাধিক প্রতিনিধি এতে অংশ নিয়েছে। প্রায় এক দশক আগে অভিবাসীদের উন্নয়ন প্রশ্নে এফএমডি সম্মেলনের নেয় জাতিসংঘ।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৫০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৯, ২০১৬/ আপডেট: ১৯৩৮ ঘণ্টা
জেপি/টিআই