ঢাকা: কূটনৈতিক এলাকাখ্যাত গুলশান, বনানী, বারিধারা ও নিকেতন এলাকার সড়কে আরও পাঁচশ সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা হবে। এ লক্ষ্যে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) সঙ্গে ত্রিপক্ষীয় সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে।
সোমবার (১২ ডিসেম্বর) ডিএনসিসি’র নগর ভবনে এ সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর হয়। গুলশান, বনানী, বারিধারা ও নিকেতন এলাকার আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় উল্লেখিত ৪টি সোসাইটির নেতারা এবং ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের সমন্বয়ে গঠিত এলওসিসি’র উপদেষ্টা ঢাকা-১১ আসনের সংসদ সদস্য এ কে এম রহমতুল্লাহ, তাইওয়ানের প্রতিষ্ঠান মেরিট লিলিন ইএনটি কো. লি. এর প্রতিনিধি পেমা লিন এবং এএ টেকনোলজি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বি এম রাজিব সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর করেন।
অনুষ্ঠানে মেয়র আনিসুল হক বলেন, ঢাকার চেহারা প্রতিদিনই একটু একটু করে বদলে যাচ্ছে। দেশে বসবাসকারী বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত, দাতা সংস্থার প্রতিনিধি এবং ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদের নিরাপত্তা দেওয়ার বিষয়ে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে গুলশান, বনানী, বারিধারা ও নিকেতন এলাকার আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের জন্য ডিএনসিসির পক্ষ থেকে ইতোমধ্যেই এসব এলাকায় বেশ কিছু সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে।
নতুনভাবে আরও পাঁচশ সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা হলে তা আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় পুলিশবাহিনীকে আরও বেশি সক্ষমতা এনে দেবে। তিনি বলেন, কূটনৈতিক এলাকার পাশাপাশি ঢাকা উত্তরের পুরো এলাকায় আগামী ২০১৭ সালের মধ্যে ৫ হাজার সিসি ক্যামেরা স্থাপনের মাধ্যমে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা হবে।
ডিএমপি গুলশান বিভাগের এডিসি আব্দুল আহাদ পিপিএম জানান, গত ৩ মাসে গুলশান, বনানী, বারিধারা ও নিকেতন এলাকায় কোনো চুরি বা ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেনি। সিসি ক্যামেরা স্থাপনের ফলেই এমন সুফল এসেছে।
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে তাইওয়ানের প্রতিষ্ঠান মেরিট লিলিন ইএনটি কো. লি. এর প্রতিনিধি ক্রিস সু, ডিএমপি গুলশান জোনের এসি মো, রফিকুল ইসলাম এবং ৪টি সোসাইটির নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ২০৩৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১২, ২০১৬
এসএম/জেডএস