কেরানীগঞ্জ (ঢাকা): কেরানীগঞ্জে রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটির (বিআরটিএ) কার্যক্রম সম্পর্কিত গণশুনানি অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৫ ডিসেম্বর) সকাল ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত বিআরটিএ ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয় কেরানীগঞ্জের ইকুরিয়া বিআরটিএ কার্যালয়ে এ গণশুনানির আয়োজন করে।
বিআরটিএ’র চেয়ারম্যান মো. নজরুল ইসলাম উপস্থিত থেকে শুনানি গ্রহণ করেন। গণশুনানিতে প্রায় ২০ জন সেবাপ্রত্যাশী অংশগ্রহণ করেন। এসময় তারা বিআরটিএ’র বিভিন্ন কাজের গঠনমূলক সমালোচনা করেন।
গণশুনানিতে আইএফআইসি ব্যাংকের ট্রান্সপোর্ট অফিসার মোস্তফা জামাল বলেন, আমার প্রতিষ্ঠানের একটি গাড়ি (ঢাকা মেট্রো ঘ ০২-১০১২) ১৯৮৯ সাল থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত সব কাগজপত্র ঠিক ছিল। কিন্তু গত দু’বছর ধরে আমি গাড়িটির ফিটনেস সার্টিফিকেট নবায়ন করতে এলে আমাকে বলা হচ্ছে এই গাড়ির চেসিস নম্বরে আরেকটি গাড়ি রয়েছে।
অপর এক বেসরকারি চাকরিজীবী হুমায়ুন কবির বলেন, আমার গাড়ি (ঢাকা মেট্রো গ ২১-৫৪৬১) ছয় মাস আগে ফিটনেস করাতে আনলে আমাকে বলা হয় গাড়ির রংয়ে সমস্যা। পরে অন্য এক দালালের মাধ্যমে কিছু টাকা দিয়ে গাড়িটির ফিটনেস করাই। সুতরাং টাকা দিলে বিআরটিএ’র সব কাজ করা যায়।
এসময় বিআরটিএ’র চেয়ারম্যান মো. নজরুল ইসলাম বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দিয়ে বলেন, বিআরটিএ’র অনেক কর্মকর্তার গাফিলতিতে জনগণ সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। তাদের মধ্যে আন্তরিকতার অভাব আছে। হেল্প ডেস্কে যারা কাজ করবে পেটে ব্যথা থাকলেও তাদের সেবা প্রত্যাশীদের সঙ্গে হেসে কথা বলতে হবে।
তিনি আরো বলেন, আমাদের জনবলের অভাব আছে। এ সমস্যা খুব শিগগিরই সমাধান হয়ে যাবে। এছাড়া যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ এসেছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ-টু-আই’র সহযোগিতায় বিআরটিএ স্মার্ট ডাটা সেন্টার স্থাপন করতে যাচ্ছে। ২০১৭ সালের এপ্রিল মাসের মধ্যে পাইলট প্রকল্পের মাধ্যমে এ ডাটা সেন্টারের কার্যক্রম শুরু হবে। এতে করে বিআরটিএ’র সঙ্গে জনগণের সরাসরি সম্পৃক্ততা কমে আসবে। অনলাইনে বিভিন্ন সেবার জন্য আবেদন করা যাবে। ফলে বিআরটিএ দালালের উপদ্রবও কমবে।
গণশুনানিতে আরো বক্তব্য রাখেন-বিআরটিএ’র পরিচালক (ইনফোর্সমেন্ট) নাজমুল আহসান মজুমদার, পরিচালক (অপারেশন) সিতাংশু বিশ্বাস, বিভাগীয় উপ-পরিচালক মো. মাসুদ, কেরানীগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক আবু জাফর ও সাংবাদিক মো. নাজিম উদ্দিন ইমন।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৫৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৫, ২০১৬
আরবি/আরএ