যশোর: যশোরে নিজ কর্মচারীদের হাতে খুন হওয়া চীনা নাগরিক চ্যাং হিং সং এর স্ত্রী টেমু লাই এন স্বামীর মরদেহ দেখতে যশোর পৌঁছেছেন।
বৃহস্পতিবার (১৫ ডিসেম্বর) সকালে বিমানের একটি ফ্লাইটে ঢাকা থেকে তিনি যশোরে পৌঁছান।
পরে পুলিশের সহযোগিতায় ঘটনাস্থলে পৌঁছে স্বামীর মরদেহ দেখে আহাজারী শুরু করেন এবং স্বামীর খুনিদের দেখে উত্তেজিত হয়ে তাদের কিল-ঘুষি মারতে শুরু করেন।
নিহত চীনা নাগরিকের গাড়ি চালক মামুন ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বুধবার (১৪ ডিসেম্বর) রাতে হিং সং-এর স্ত্রী স্বামীর ফোন বন্ধ পেয়ে তাদের প্রতিষ্ঠানের কর্মচারী নাজমুলকে ফোন করেন। এ সময় নাজমুল জানায়, স্যারের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। পরে তার পরামর্শে নাজমুল থানায় গিয়ে চীনা নাগরিক নিখোঁজের বিষয়টি জানান। এ সময় সন্দেহ হলে পুলিশ তাকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সে তার ভাতিজা মুস্তাদিরের নাম বলায় রাতে পুলিশ তাকেও আটক করে।
পরে তাদের দেওয়া স্বীকারোক্তি মতে সকালে গোডাউনের টয়লেট থেকে চীনা নাগরিকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। রাতেই পুলিশের কাছ থেকে সংবাদ পেয়ে নিহত হিং সং-এর স্ত্রী টেমু লাই এন সকালে বিমানে করে যশোরে এসে পৌঁছান।
জানা গেছে, ওই চীনা নাগরিক ২০১৪ সাল থেকে বাংলাদেশে ইজিবাইকের ব্যাটারি ও পার্টস সাপ্লাই দিয়ে আসছিলেন। তবে ব্যবসায়ীক কাজের জন্য সম্প্রতি তিনি স্ত্রীকে ঢাকায় রেখে আসেন।
এরপর বুধবার রাত ১১টার দিকে তাকে লোহার রড দিয়ে মাথাসহ সারা শরীরে পিটিয়ে এবং ব্লেড দিয়ে কেটে হত্যা করে মরদেহ বস্তায় ভরে গোডাউনের টয়লেটে রাখা হয়।
পুলিশ জানায়, ব্যবসার টাকা আত্মসাতের জন্য হিং সং-কে হত্যা করা হয়। আটক নাজমুল হাসান ও মুস্তাদিরের বাড়ি নেত্রকোনায়। তারা সম্পর্কে চাচা-ভাতিজা।
বাংলাদেশ সময়: ১৮০৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৫, ২০১৬
ইউজি/আরএ
** যশোরে চীনা নাগরিকের মরদেহ উদ্ধার, আটক ২