রোববার (১ জানুয়ারি) দুপুরে সচিবালয়ে নতুন বছরের শুভেচ্ছা বিনিময়ের সময় সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি আরও বলেন, ‘এ ঘটনায় এটা প্রমাণিত হয় না যে দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভেঙে পড়েছে।
“আগেও নানা ধরনের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালানোর চেষ্টা করা হয়েছে। আমরা সেগুলো কঠোর হাতে দমন করেছি। তবে সংসদ সদস্যদের উপর সন্ত্রাসী হামলা এবং হত্যা আমাদের জন্য নতুন ঘটনা। এটা আগে কখনো ঘটেনি”।
তিনি বলেন, ঘটনার পরপরই পুলিশ ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনাস্থলে ছুটে গেছে। তারা আলামত সংগ্রহ করে। প্রকৃত অপরাধীদের খুঁজে বের করতে পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থাগুলো সমন্বিতভাবে কাজ করছে।
এখন পর্যন্ত ১৮ জন সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে। দ্রুতই প্রকৃত অপরাধী ধরা পড়বে, যোগ করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
আরেক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, রাজনৈতিক বিবেচনায় নয়, নিহত সংসদ সদস্যের মোবাইল ফোনের ‘কল লগ’ এবং বিভিন্ন সূত্রে পাওয়া তথ্য বিশ্লেষণ করে এখন পর্যন্ত এই ১৮ জন সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে। আমাদের গোয়েন্দারা সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে কাজ করছে। তারা অত্যন্ত দক্ষ।
তিনি আরো বলেন, এই হত্যাকাণ্ড তদন্তে আমরা সব কিছু মাথায় নিয়েই কাজ করছি। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী অনেকগুলো ডায়মেনশন নিয়ে কাজ করছে। এ ক্ষেত্রে বিদেশি গোয়েন্দা সংস্থার দেওয়া তথ্যও বিবেচনায় নিচ্ছি, যোগ করেন তিনি।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সংসদ সদস্য লিটন একজন জনদরদী রাজনৈতিক নেতা ছিলেন। তার বাড়িতে সবার অবাধ আসা-যাওয়া ছিলো। এই সুযোগই সন্ত্রাসীরা নিয়েছে বলে আমরা মনে করছি। তিনি যখনই আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সহায়তা চেয়েছে, তখনই তাকে সে সেবা দেওয়া হয়েছে। দায়িত্বে অবহেলা করা হয়নি। আমরা একদমই মনে করছি না এটা সরকারের উপর থ্রেট। এ ঘটনায় সরকার উদ্বিগ্নও নয়। আগেও ছিল না।
খুলনায় আওয়ামী লীগ নেতাকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ায় দুর্বৃত্ত এবং পিস্তল সরবরাহকারীকে চিহ্নিত করা হয়েছে। ব্যাবসা-বাণিজ্য বা আঞ্চলিক রাজনীতির কারণে এ হামলা হতে পারে। এর সঙ্গে লিটন হত্যার কোনো যোগসাজস নেই।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৫৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০১, ২০১৭
আরএম/আরআইএস/এটি