গাড়িটি আইএলও’র জুনিয়র প্রফেশনাল নিসকে জ্যানসেন ২০১৪ সাল থেকে ব্যবহার করতেন। তার কাস্টমস পাসবুক সিবি ০০০২/১৫ এ গাড়িটি এন্ট্রি করান।
তবে পরের বছর জ্যানসেন কম্বোডিয়ায় বদলির কারণে দেশ ত্যাগ করলেও শুল্কমুক্ত সুবিধার এ গাড়ি কাস্টমসের অনুমতি না নিয়ে ইংলিশ ইন অ্যাকশন এর টিম লিডার সুজান উইলিয়ামসনের কাছে বিক্রি করেন। জ্যানসেন তার পাস বইটিও হস্তান্তর করেননি।
সম্প্রতি শুল্ক গোয়েন্দা শুল্কমুক্ত সুবিধার অপব্যবহারে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করলে আইএলও থেকে গাড়িটি সারেন্ডার করার জন্য চিঠি দেয়।
পাজারোটি ইংলিশ ইন অ্যাকশন অফিসের গুলশানের হাউস ১, রোড ৮০ থেকে জব্দ করা হয়।
এ সময় উলিয়ামসন অফিসে ছিলেন না। তার পক্ষে ঐ অফিসের এইচআর ম্যানেজার আফরোজা আক্তার গাড়িটি শুল্ক গোয়েন্দা দলের কাছে বুঝিয়ে দেন।
গাড়ি যাচাই করে দেখা যায়, এটি ২০০১ সালের জাপানে তৈরি। এর চেসিস নং H77W-0208388, ইঞ্জিন ক্যাপাসিটি ২০০০। উদ্ধারকালে গাড়িতে হলুদ প্লেট লাগানো ছিল। প্লেট নং DA65-268।
শুল্ক আইন অনুযায়ী দেশ ত্যাগের আগে গাড়ি ও পাসবুক হস্তান্তর না করায় আইন ভঙ্গজনিত অপরাধ হয়েছে। উইলিয়ামসন অনুমোদন ব্যতিরেকে শুল্কমুক্ত গাড়িটি নিজ দখলে রেখেছেন। এটি শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
গাড়ির আনুমানিক মূল্য প্রায় দেড় কোটি টাকা। এখন তদন্তপূর্বক উভয়ের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ২০৪৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০১, ২০১৬
আরএটি/জেডএস