এবার ব্যয় না বাড়িয়েই হাতিরঝিল প্রকল্পের তেজগাঁও মৌজার বউবাজার এলাকার কাছে ৬০ ফুট চওড়া ও ৫০০ মিটার দৈর্ঘ্যের সংযোগ সড়ক (লিংক রোড) নির্মাণ করা হবে।
রাজউক সূত্র জানায়, সড়কটি মালিবাগ-মগবাজারের সঙ্গে তেজগাঁওয়ের সরাসরি সংযোগ স্থাপন করবে।
এজন্য তেজগাঁও মৌজার সাতরাস্তা লিংক রোডের জন্য ০ দশমিক ১২ একর এবং বাড্ডা মৌজার ভায়াডাক্ট-দুই ও তিনের মধ্যবর্তী স্থানে ১ দশমিক ১৩ একর ভূমি প্রয়োজন। তবে এ ভূমি অধিগ্রহণে জটিলতায় পড়েছে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক)। সংশ্লিষ্ট এলাকা থেকে ভূমি অধিগ্রহণ করা যাচ্ছে না।
এদিকে প্রকল্পের আওতায় হাতিরঝিলের পানি পরিষ্কার রাখা ও মেরুল বাড্ডা অংশের ইউলুপ নির্মাণের কাজ বাকি রয়েছে। হাতিরঝিল প্রকল্পের ব্যবস্থাপনা ও রক্ষণাবেক্ষণে ১০তলা বিশিষ্ট ম্যানেজমেন্ট ইউনিটের কাজ সম্পন্ন হয়েছে ৩০ শতাংশ। এগুলো ছাড়াও লেকের গুণগত মানের উন্নয়নে ঢাকা ওয়াসা অংশে ডাইভারশন স্যুয়ারেজের ভৌত কাজ সম্পন্ন করতে প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ছে।
প্রকল্প পরিচালক জামাল আক্তার ভূঁইয়া বাংলানিউজকে জানান, প্রকল্পের ব্যয় বাড়ানো হবে না, শুধু সময় বৃদ্ধির প্রস্তাব পরিকল্পনা কমিশনে পাঠিয়েছে রাজউক।
হাতিরঝিল প্রকল্পটি শুরুতে ২০০৭ সাল থেকে ২০১০ সালের জুন মেয়াদে সম্পন্ন হওয়ার কথা ছিলো। ওই সময় ব্যয় ছিলো ১ হাজার ৪৭৩ কোটি ৫৮ লাখ টাকা। এরপর একে একে প্রকল্পের ডিপিপি (উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাবনা) চারবার সংশোধন করা হয়। বর্তমানে প্রকল্পের মোট ব্যয় নির্ধারিত রয়েছে ২ হাজার ২৩৬ কোটি টাকা।
২০১৬ সালের নভেম্বর পর্যন্ত প্রকল্পের আর্থিক অগ্রগতি ৯৭ দশমিক ৫০ শতাংশ এবং ভৌত কাজের অগ্রগতি ৯৮ দশমিক ৬৪ শতাংশ।
তবে হাতিরঝিল থেকে কিছু অর্থও আয় হচ্ছে, যা দিয়ে রক্ষণাবেক্ষণের ব্যয় নির্বাহ করা হয়। প্রতি বছর হাতিরঝিল প্রকল্প রক্ষণাবেক্ষণ ও মেরামতে ব্যয় হচ্ছে সাত কোটি পঞ্চাশ লাখ টাকা। আর হাতিরঝিলের ভেতরে সার্কুলার বাস, ওয়াটার ট্যাক্সি, অটো কার ওয়াশ, স্থায়ী ও অস্থায়ী খাবারের দোকান এবং পাবলিক টয়লেট লিজ দেওয়া হয়েছে। এতে প্রতি মাসে আয় হচ্ছে ৮ লাখ ১৮ হাজার টাকা।
বাংলাদেশ সময়: ০৮০৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৬, ২০১৭
এমআইএস/এএসআর