খাবারের মান ভালো হওয়ায় আগের মতোই এ বেকারিতে রয়েছে বিদেশি ক্রেতাদের ভিড়। যা প্রতিদিনই বাড়ছে।
সোমবার (১৬ জানুয়ারি) গুলশান উত্তর অ্যাভিনিউয়ের বাংলালিংক টাওয়ারের ১৫৪ নম্বর ভবনের দ্বিতীয় তলায় নতুন করে সাজানো হলি আর্টিজানে গিয়ে মিলেছে এমন চিত্র।
গত ১০ জানুয়ারি ফের চালু করা হয় হলি আর্টিজান। চালু হওয়ার পর থেকে প্রতিদিনই বাড়ছে দেশি-বিদেশি ক্রেতাদের ভিড়।
সরেজমিন হলি আর্টিজানে দেখা গেছে, বাংলালিংক টাওয়ারের সিঁড়ি বেয়ে ওপরে ওঠার পর প্রবেশ মুখে বোর্ডে বড় করে লেখা, ‘হলি: স্লো, বিউটিফুল অ্যান্ড প্রিসাইজ’। বেকারিতে দেশি-বিদেশি ক্রেতা সমাগম দেখা গেছে। কেউবা পার্সেল নিচ্ছেন, আবার কেউ পরিবার নিয়ে চুটিয়ে আড্ডা দিচ্ছেন।
আরো দেখা যায়, বেকারিতে সাজানো রয়েছে লোভনীয় ও দৃষ্টিনন্দন অনেক খাবার। বেকারির প্রবেশ পথে হাতের ডান পাশে কাচের সেলফে সাজানো রয়েছে ব্রেড, বেকারির তৈরি কেক, বিস্কুটসহ বিভিন্ন খাদ্য। ক্রেতাদের পরিবেশনের জন্য তৈরি করা মেন্যু চার্টের সঙ্গে রয়েছে মূল্য তালিকা।
বেকারিতে বর্তমানে ২৫ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী কাজ করছেন। বিদেশি দুই ক্রেতা জ্যাকুলিন ও জারা বাংলানিউজকে বলেন, ‘পুরনো হলি আর্টিজানে যা ঘটেছিল তা ছিল দুর্ঘটনা। বেকারিতে আসতে পেরে ভালো লাগছে। সুস্বাদু খাবারের স্বাদ পাচ্ছি’।
বেকারির মালিক সাজ্জাদ বাংলানিউজকে বলেন, ‘প্রতিদিনই বেকারিতে দেশি-বিদেশি ক্রেতাদের সমাগম বাড়ছে। তবে দেশি ক্রেতাদের চেয়ে বিদেশি ক্রেতার সংখ্যাই বেশি। তাদের চাহিদার কথা মাথায় রেখেই মেন্যু তৈরি করেছি’।
‘আশা করছি, খুব কম সময়ের মধ্যে বেকারিটি তার পুরনো চেহারা ফিরে পাবে। বিদেশি ক্রেতাদের সমাগম দেখেই বুঝতে পারছি, শঙ্কা কেটে গেছে’।
বেকারিটি আরো বড় পরিসরে চালানোর ইচ্ছা আছে বলেও জানান তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১০৩০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৭, ২০১৭
আরএটি/জেডএস/এএসআর