এছাড়া নাট্য সংগঠন পাবনা ড্রামা সার্কেল, একুশে বইমেলা পরিষদ, লালন স্মৃতি পরিষদ, মহিয়সী পাঠ চক্রসহ স্থানীয় বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন পালন করেছে পৃথক কর্মসূচি।
সুচিত্রা সেন চলচ্চিত্র সংসদের সভাপতি কমরেড জাকির হোসেনের সভাপতিত্বে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
নাট্য সংগঠক মুস্তাফিজুর রহমানের সঞ্চালনায় সভায় বক্তব্য রাখেন-পাবনা রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি প্রবীণ সাংবাদিক হাবিবুর রহমান স্বপন, পাবনা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আঁখিনূর ইসলাম রেমন, সংগঠনের সদস্য রেজাউল করিম মনি, কবি গোলাম রব্বানি, প্রভাষক সাহিত্যিক আখতারুজ্জামান, চলচ্চিত্র নির্মাতা বাদল দেওয়ান, নাট্যকার নির্দেশক ফিরোজ খন্দকার ও নাট্যকার দোলন আজিজ প্রমুখ।
এসময় বক্তারা বলেন, উপমহাদেশের বাংলা চলচ্চিত্রের এ মহানায়িকার জন্মস্থান পাবনার বসতবাড়িটি দীর্ঘদিন বেদখলে ছিল। পাবনার সাংস্কৃতিক কর্মীদের আন্দোলন ও গণমাধ্যম কর্মীদের প্রচার-প্রচারণায় দু’বছর আগে জামায়াতের হাত থেকে দখলমুক্ত হয় সুচিত্রা সেনের পৈত্রিক বসতভিটা। আমাদের দাবি ছিল এ বাড়িটি ঘিরে এখানে সুচিত্রা স্মরণে একটি আর্কাইভ গড়ে তোলার। যা এখনও করা হয়নি। তাই সরকার এবং দায়িত্বরত সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সুদৃষ্টি কামনা করেন এবং সুচিত্রা সেনকে নিয়ে চলচ্চিত্রের নামে যাতে কেউ ব্যবসা না করতে পারে সেদিকে নজর দেওয়ার কথা বলেন।
সন্ধ্যায় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে সুচিত্রা সেন অভিনীত চলচ্চিত্র মেঘকালো প্রদর্শনের আয়োজন করেছেন সুচিত্রা ভক্তরা।
১৯৩১ সালের ৬ এপ্রিল পাবনা পৌর এলাকার গোপালপুর মহল্লার হেমসাগর লেনে জন্মগ্রহণ করেন সুচিত্রা সেন। ১৯৪৭ সালে দেশভাগের সময় সপরিবারে চলে যান ভারতে। এরপরে আর কখনও নিজ মাটিতে ফিরে আসেননি তিনি।
১৭ জানুয়ারি ২০১৪ সালে কলকাতার বেলভিউ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান এ মহানায়িকা। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮৩ বছর।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৪০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৭, ২০১৭
আরবি/আরএ