সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ভূমি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মেছবাহ উল আলম বলেন, ভূমি কর্মকর্মতাদের যথাযথ প্রশিক্ষণের মাধ্যমে সব ভূমি অফিসগুলোকে জনবান্ধব অফিসে পরিণত করতে হবে। নবীন সহকারী কমিশনারদের (ভূমি) বিভিন্ন কার্যকর জনবান্ধব উদ্ভাবনী পদক্ষেপগুলো বাছাই করে সারাদেশে মেগা প্রজেক্টের মাধ্যমে বাস্তবায়ন করা হবে।
তিনি শূন্যপদ পূরণ, তহসিলদার ও সহকারী তহসিলদারদের নিয়মিত বদলি কার্যকর করার জন্য বিভাগীয় কমিশনার ও জেলা প্রশাসকদের নির্দেশনা দেন। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী ৫০ হাজার গৃহহীন পরিবারের জন্য গুচ্ছগ্রাম তৈরির জন্য যথোপযুক্ত খাস জমি নির্বাচন করতে বলেন।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ভূমি সংস্কার বোর্ডের চেয়ারম্যান মো. মাহফুজুর রহমান বলেন, ভূমি উন্নয়ন কর নিয়মিত আদায়ের জন্য অচিরেই লোকবল নিয়োগ দেওয়া প্রয়োজন।
ভূমি আপিল বোর্ড চেয়ারম্যান ড. মুজিবুর রহমান হাওলাদার ভূমি সংক্রান্ত বিবিধ মামলার দীর্ঘসূত্রিতা নিরসন এবং রেকর্ডসমূহ হালনাগাদ করার জন্য জেলা প্রশাসক, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক রাজস্ব ও সহকারী কমিশনারদের (ভূমি) আন্তরিকভাবে কাজ করার আহ্বান জানান।
সম্মেলনে সহকারী কমিশনার ভূমিগণ তাদের গৃহীত উদ্ভাবনী কার্যক্রমসমূহ উপস্থাপন করেন।
এসময় আশ্রয়ন, গুচ্ছগ্রাম, ভূমি রেকর্ড ও জরিপ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়।
অনুষ্ঠানের সভাপতি ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার হেলালুদ্দিন আহমদ বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে সহকারী কমিশনার ভূমি ও তহসিল অফিসগুলোতে সেবার মান অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নে ডিজিটাল ভূমি সেবা অপরিহার্য। এ লক্ষ্যে জনবান্ধব ভূমি অফিস নির্মাণ কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।
ঢাকা বিভাগে ২০১৬-১৭ অর্থ বছরে প্রায় ৬১ কোটি টাকা ভূমি উন্নয়ন কর আদায় করা হয়। এসময় ভূমিহীন ১ হাজার ২৫৫টি পরিবারের মধ্যে ২৭২ একর কৃষি খাস জমি বন্দোবস্ত দেওয়া হয়। ঢাকা বিভাগে বর্তমানে ১১৫টি আশ্রয়ন প্রকল্প চলমান রয়েছে।
অনুষ্ঠানে ঢাকার অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার মো. নূরুন্নবী, ঢাকা বিভাগের সব জেলা সমূহের জেলা প্রশাসক, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ও সহকারী কমিশনাররা (ভূমি) উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ২০৫৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৭, ২০১৭
আরবি/আরএ