রাজধানীর বিএফ শাহীন কলেজে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। গ্রিন ঢাকা ক্যাম্পেইন অনুষ্ঠানটি আরএফএল গ্রুপের সহযোগিতায় আয়োজন করে সবুজ ঢাকা।
মেয়র বলেন, আগামী এক বছরের মধ্যেই উত্তরের ফুটপাত এমনভাবে গড়া হবে যেন, অন্ধজনেও সহজে চলতে পারেন। আপনারা নাগরিকরা সহযোগিতা করুন।
মোটরসাইকেল নিয়ে অনেকে বীরদর্পে ফুটপাতে উঠে যান। ফুটপাতে উঠলেই তাকে ধরে পুলিশে দিন। অনেক প্রাইভেটকার ফুটপাতে চাকা তুলে দেয়। এমন দেখলেও পুলিশে দিন।
তিনি বলেন, আমরা প্রতিশ্রুতি দেই বাসযোগ্য শহর গড়ে তোলার। কিন্তু ঢাকা উত্তরে প্রতি বর্গ কিলোমিটারে ১ লাখ ২৮ হাজার লোক বাস করেন। আর ঢাকা মোট জিডিপি’র (গ্রস ডমেস্টিক প্রোডাক্ট) ৩৫ শতাংশের যোগান দেয়। তার অর্থ ঢাকায় কাজ আছে। তাই প্রতিনিয়ত এ শহরে মানুষ আসছেন। দখল হচ্ছে ফুটপাত। রাস্তায় বসছে হকার।
আনিসুক হক বলেন, খুব কষ্ট লাগে যখন হকার উচ্ছেদ করি। কিন্তু একটি পরিচ্ছন্ন বাসযোগ শহর গড়তে, রাস্তা বড় করতে কষ্টের কাজটিই করতে হয়।
তিনি আরো বলেন, ১০ জন সেরা ডাক্তার দিয়ে জরিপ করেছি। ঢাকার পরিবেশ এতো দূষিত যে, ২৫ শতাংশ শিশু এবং ৫০ শতাংশ মানুষের ফুসফুস আক্রান্ত। তাই বেশিবেশি গাছ লাগাতে হবে। আপনারা সবাই বাড়িতেই গাছ লাগান। চারার জন্য চিন্তা করতে হবে না। শুধু ইচ্ছাটা করুন। চারা পৌঁছে যাবে।
এক্ষেত্রেও সমস্যা আছে। উত্তরায় গাছ লাগাতে গিয়ে দেখি জায়গা নেই। ৬ হাজার গাছ লাগানে হয়েছে বাড়িতে। তাই বাড়িতে হলেও গাছ লাগাতে হবে।
বিএফ শাহীন কলেজের অধ্যক্ষ গ্রুপ ক্যাপ্টেন এএইচএম আমিলুন ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে আরএফএল গ্রুপের ম্যানেজিং ডিরেক্টর আরএন পাল, আমরা নেটওয়ার্ক লিমিটেডের হেড অব মার্কেটিং মুহাম্মদ সোলাইমান, সবুজ ঢাকার উপদেষ্টা প্রীতি চক্রবর্তী, সবুজ ঢাকার চেয়ারম্যান রুপাই ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত রাখেন।
আরএন পাল বলেন, আমরা এমন কোনো কাজ করবো না বা এমন কোনো উৎপাদনে যাবো না, যা পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর। বরং গাছ লাগানের এ সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে।
এরপর মেয়র নিজ হাতে চারা রোপন ছাড়াও বিএফ শাহীন কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে ৪ হাজার গাছের চারা বিতরণ করেন।
সবুজ ঢাকা ৪০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মোট এক লাখ গাছের চারা বিতরণের লক্ষ্যে কাজ করছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৪৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৮, ২০১৭
ইইউডি/জেডএস