এ মামলায় সাক্ষ্য নেওয়ার মধ্যদিয়ে কুনিও হত্যার বিচার কার্যক্রম আরেক ধাপ এগিয়ে গেল। পরবর্তি সাক্ষির দিন ধার্য্য করা হয়েছে ২৩, ২৪ ও ২৫ জানুয়ারি।
বিশেষ জজ আদালতের পাবলিক প্রসিটেটর (পিপি) অ্যাড রথিশ চন্দ্র ভৌমিক বাবু সোনা জানান, এ মামলায় প্রথম সাক্ষ্য দেন মামলার বাদী তৎকালিন কাউনিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রেজাউল করিম। এরপর সাক্ষ্য দেন সারাই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আশরাফুল ইসলাম। দুই সাক্ষিকেই জেরা করা হয়েছে।
গত বছরের ১৫ নভেম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক নরেশ চন্দ্র সরকার শুনানি শেষে ৭ জঙ্গির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে ৪ জানুয়ারি মামলার সাক্ষ্য নেওয়ার দিন ধার্য করেন।
পর পর দুটি ধার্য তারিখে বিভিন্ন কারণে সাক্ষ্য গ্রহণ করা সম্ভব হয়নি। বুধবার প্রথম এই মামলার সাক্ষ্য গ্রহণ করা হলো।
এর আগে গত ১০ নভেম্বর রাষ্ট্রীয় খরচে আসামিদের পক্ষে আইনজীবী নিয়োগের নির্দেশ দেয়া হয়। গত ১৩ অক্টোবর কাউনিয়া আমলি আদালত-২ এর বিচারক আরিফুল ইসলাম শুনানি শেষে মামলাটি রংপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালতে স্থানান্তর করেন। পরে গত বছরের ২৬ অক্টোবর জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক হুমায়ুন কবীর বিচারের জন্য মামলাটি বিশেষ জজ আদালতে স্থানান্তর করেন।
এ মামলায় জেএমবির আট জঙ্গির বিরুদ্ধে গত ৭ আগস্ট দণ্ডবিধির ৩০২ ধারায় অভিযোগপত্র দিয়েছেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কাউনিয়া থানার ওসি আব্দুল কাদের জিলানী। আসামিদের মধ্যে জেএমবির আঞ্চলিক কমান্ডার মাসুদ রানাসহ পাঁচ জঙ্গি কারাগারে রয়েছেন। বাকি তিনজনের মধ্যে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আহসান উল্লাহ আনছারী পলাতক রয়েছেন। ইতোমধ্যে তাকে ধরিয়ে দিতে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে।
এ মামলার অপর দুই আসামির মধ্যে ৫ জানুয়ারি সাদ্দাম হোসেন ঢাকায় এবং অপর আসামি নজরুল ইসলাম ওরফে বাইক হাসান রাজশাহীতে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছেন।
২০১৫ সালের ৩ অক্টোবর সকালে তাকে কাউনিয়া উপজেলার আলুটারি এলাকায় নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন জেএমবির জঙ্গিরা গুলি করে হত্যা করে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৮, ২০১৭
এসএইচ