বৃহস্পতিবার (১৯ জানুয়ারি) সকাল ৯টার দিকে রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউটে এ চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠিত হবে।
এতে চীনা প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান আইসস্টোন, চীন দূতাবাস এবং সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশন (সিআরআই) ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধিরা উপস্থিত থাকবেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, চুক্তির আওতায় ই-ভিলেজ প্রকল্পটি অতীতের সীমাবদ্ধতাকে জয় করে বেশ কিছু নতুন প্রযুক্তির সন্নিবেশ ঘটাতে যাচ্ছে। প্রকল্পটির মাধ্যমে কৃষকের ব্যবহার উপযোগী বাংলায় অডিও ভয়েসযুক্ত একটি স্মার্ট অ্যাপস তৈরি করা হবে। যার মাধ্যমে কৃষকরা তার জমির ও ফসলের কী অবস্থা তা জানতে পারবেন।
প্রকল্পের শুরুতে একটি সবজি খেতে সমীক্ষা চালানো হবে। ধীরে ধীরে তা অন্য ফসলে নিয়ে যাওয়া হবে।
কৃষকরা সকালে মোবাইল ফোন সেটটি চালু করলেই তাতে একটি খবর যাবে। যাতে নির্দেশনা থাকবে- তার খেতের সর্বশেষ কী অবস্থা। একই সঙ্গে করণীয়গুলোও জানিয়ে দেবে, যে কী ধরনের ওষুধ, সার পানি বা অন্যান্য উপকরণ দিতে হবে। যদি তারা বাড়ির বাইরেও থাকেন যাতে তার কাছে খবর যায় সে ব্যবস্থা থাকবে।
কৃষকরা তাদের খেতের জটিল কোনো অবস্থাতেও কারও কাছে না গিয়ে নিজেই সমাধান করতে পারবেন।
প্রকল্পের মাধ্যমে স্থানীয় আবহাওয়া ও অন্যান্য উপযোগিতা বিবেচনায় করে কিছু ডিভাইস উদ্ভাবন করা হবে।
বিশ্বজুড়ে প্রচলিত ও বহুল ব্যবহৃত এ ধরনের প্রযুক্তি খুবই ব্যয়বহুল। একটি ফিল্ড সার্ভারের দাম সাত থেকে আট লাখ টাকা। তারপরও আবার এটা দিয়ে কেবল এক ধরনের তথ্য পাওয়া যাবে। কিন্তু আমাদের কৃষকদের পক্ষে এ প্রযুক্তি ব্যবহার করা দুঃসাধ্য।
এ বিষয়গুলো মাথায় রেখে এ পাইলট প্রকল্পের মাধ্যমে একটি সাশ্রয়ী ডিভাইস আনা হবে, যাতে একজন বা একাধিক কৃষক মিলে ওই ডিভাইসটি কিনতে পারেন।
এ ডাটাগুলো চলে যাবে সার্ভারে। প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা এসব ডাটা বিশ্লেষণ-সুবিন্যাস করে সফটওয়্যার উন্নয়ন করে তা অ্যাপসে যাবে। কৃষিবিদরা ডাটাগুলো বিশ্লেষণ করে যথাযথ পরামর্শটা অ্যাপসে যুক্ত করবেন। কৃষকদের কাছে অ্যাপসের মাধ্যমে সরাসরি পরামর্শটা চলে যাবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭১৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৮, ২০১৭
আরবি/এসএইচ