সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করে বলা হয়, বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর অনুগতদের দিয়ে রাজশাহী মহানগর জেলা কমিটি করা হয়েছে।
এতে আওয়ামী লীগ ঘরানার লোকও জায়গা পেয়েছেন।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন রাজশাহী বিএনপি রক্ষা কমিটির আহ্বায়ক নজরুল হুদা। এতে মহানগরীর চার থানা বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করে বলা হয়, বর্তমান রাজশাহী মহানগর ও জেলার কমিটিতে স্থান পাওয়া নেতাদের অধিকাংশই বিতর্কিত, কর্মী বিচ্ছিন্ন ও বিএনপির অপরিচিত মুখ। তাদের দিয়ে রাজশাহীতে বিএনপির রাজনীতি কোনোভাবেই এগিয়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়। কমিটি গঠনের পর তারা সাংগঠনিক কর্মকাণ্ডও করতে পারেনি।
বিতর্কিত হওয়ার পরও তারা কমিটিতে স্থান পেয়ে গত ৩১ ডিসেম্বর বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নাম ব্যবহার করে মহানগরীর সাহেববাজারে ফুল বিতরণ করেছেন। এতে বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে বিভ্রান্তি ও বিরুপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। এছাড়া রাজশাহীর রাজনীতিতে রংপুর ও চাঁপাইনবাবগঞ্জের নেতাকর্মীদের অাধিপত্যের ব্যাপারেও সমালোচনা করা হয়।
তাই অবিলম্বে রাজশাহী মহানগর ও জেলা বিএনপির কমিটি বাতিল না করা হলে কঠোর কর্মসূচী দেওয়ার হুঁশিয়ারি দেওয়া হয় বিএনপি রক্ষা কমিটির পক্ষ থেকে।
সাত বছর পর গত বছরের ২৭ ডিসেম্বর কেন্দ্র থেকে মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুলকে সভাপতি ও শফিকুল হক মিলনকে সাধারণ সম্পাদক ঘোষণা করে মহানগর বিএনপি কমিটি গঠন করা হয়। এছাড়া তোফাজ্জল হোসেন তপু ও মতিউর রহমান মন্টুকে সাধারণ সম্পাদক করে জেলা কমিটি গঠন করা হয়।
এ কমিটিতে ঠাঁই হয়নি আগের কমিটির সভাপতি ও বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মিজানুর রহমান মিনুর। এ কারণে নবগঠিত কমিটি বাতিলের দাবিতে মিনুর ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত নেতাকর্মীরা এরপর থেকে লাগাতার কর্মসূচি পালন করেছেন।
এরই ধারাবাহিকতায় গত রোববার বুলবুল-মিলন কমিটি বাতিলের দাবিতে গত ১ জানুয়ারি ‘রাজশাহী বিএনপি রক্ষা কমিটি’ গঠন করেন তারা। এর আগে তারা মহানগরীর মালোপাড়ার কাবিল ম্যানসনে থাকা দলীয় কার্যালয়ে তালা ঝুলিয়ে দেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৮, ২০১৭
এসএস/জেডএস