এমন হতাশা ব্যক্ত করে কথা বলছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়টির ফিন্যান্স বিভাগের অধ্যাপক জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। রাজধানীর কারওয়ান বাজারের জনতা টাওয়ারে সোমবার (২৩ জানুয়ারি) আয়োজিত এক গোলটেবিল বৈঠকে অংশ নিয়ে তিনি একথা বলেন।
জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, খুবই হতাশা মধ্যে আছি আমরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণার জন্য কোনো বরাদ্দ নেই। কেমন বাজে অবস্থা দেখেন- আমেরিকা, ইউরোপসহ বিদেশের যে কোনো দেশে কোনো গবেষণাপত্র উপস্থাপনের জন্য বরাদ্দ রাখা হয়েছে মাত্র ৭৫০ টাকা! যা দিয়ে ঢাকার অদূরে কুমিল্লা গিয়েও কোনো পেপার উপস্থাপন সম্ভব নয়।
‘ক্রিয়েটিং এ ভেঞ্চার ক্যাপিটাল ইকো-সিস্টেম: গভর্নমেন্ট’স রোল’ শীর্ষক বৈঠকটি তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) বিভাগের ইনোভেশন ডিজাইন অ্যান্ড অন্ট্রাপ্রেনিওরশিপ একাডেমি (আইডিয়া) আয়োজন করে।
জাহাঙ্গীর আলম বলেন, বেঠকের আলোচ্য বিষয়টি ফিন্যান্স বিভাগের সঙ্গে সম্পৃক্ত। কিন্তু এ নিয়ে আমাদের কাজ করার কোনো সুযোগ নেই। পর্যাপ্ত অর্থ বরাদ্দ নেই। কাজেই আইসিটি বিভাগের যে কোনো কার্যক্রমের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়কে অন্তর্ভুক্ত করা উচিত। এতে ভালো ফলাফল আসবে।
আইসিটি বিভাগের সচিব শ্যাম সুন্দর শিকদারের সভাপতিত্বে বৈঠকে অন্যদের মধ্যে সিপিএ ভেঞ্চার ক্যাপিটালের কনসালট্যান্ট টিনা জাবিন, বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটির বোর্ড অব ট্রাস্টির চেয়ারম্যান জামিল আজহার, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফাইন্যান্স বিভাগের অধ্যাপক জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এতে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সান ফ্রান্সিসকো স্টেট ইউনির্ভাসিটির অধ্যাপক ড. মাহমুদ হুসাইন। তিনি বলেন, বাংলাদেশে মোট উদ্যোক্তার মধ্যে ৪৮ শতাংশ নারী আর পুরুষ ৫২ শতাংশ। এদের মধ্যে ৪৮ শতাংশ ১৮ থেকে ২৪ বছর বয়সী। ৪০ শতাংশ ২৫ থেকে ৩০ বছর বয়সী। আর ১৪ শতাংশ উদ্যোক্তা ২৯ থেকে ৩৫ বছর বয়সী।
এদের মধ্যে ৫০ শতাংশই মাত্র উচ্চ মাধ্যমিক পাস। স্নাতক রয়েছে ৪৪ শতাংশ। আবার মোট উদ্যোক্তার ৮৪ শতাংশই অবিবাহিত।
তাই এদেশে ভেঞ্চার ক্যাপিটাল খাতের সম্ভাবনা রয়েছে। তবে এজন্য দরকার সঠিক গবেষণা, পরিকল্পনা, জ্ঞান ও প্রশিক্ষণ এবং বিনিযোগ।
এখাতকে এগিয়ে নিতে হলে, ব্যাংক, কর্তৃপক্ষ, উদ্যোক্তা, তহবিল প্রদানকারী, বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক, রপ্তানিকারক, কর কর্তৃপক্ষ সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯২১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৩, ২০১৭
ইইউডি/এএ