কর্মশালায় প্রাইম এশিয়া ইউনিভার্সিটি, ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেম (ইবাইস) ইউনির্ভাসিটি, ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি ও বিজিএমইএ ফ্যাশন অ্যান্ড টেকনোলজি ইউনির্ভাসিটি’র ২৮ জন শিক্ষার্থী ও শিক্ষক-শিক্ষিকা অংশগ্রহণ করেন।
ইকবাল মাহমুদ বলেন, তরুণ প্রজন্মের প্রতিনিধিরা দুর্নীতি প্রতিরোধে যেসব সুপারিশ করবে কমিশন তা বাস্তবায়নে বিবেচনা করতে পারে।
তিনি আরো বলেন, আজকের শিক্ষার্থীরা গ্রেড কিংবা জিপিএ-এর দিকে ছুটছে। তারা সক্ষমতা অর্জনের চেষ্টা করছে না। তাই দেশে অনেক সময় চাকরির জন্য যোগ্য প্রার্থী পাওয়া যায় না। একজন সক্ষম তরুণের জন্য শুধু দেশে নয় বিদেশেও চাকরির দোয়ার খোলা রয়েছে। এছাড়া শিক্ষার্থীদের গ্রেড কিংবা জিপিএ-এর পেছনে না ছুটে জ্ঞান অর্জনের মাধ্যমে সক্ষম হতে হবে।
তরুণরাই ভবিষ্যতে এদেশ চালাবে মন্তব্য করে তিনি বলেন, পরিবর্তন তাদেরকেই শুরু করতে হবে। বাইরে থেকে কেউ পরিবর্তন করে দেবে না। কমিশন কাউকে গ্রেফতার করতে চায় না। কিন্তু আইনি প্রক্রিয়ার কারণে গ্রেফতার করতে হয়। পাশাপাশি গ্রেফতারের কারণেই সমাজে দুর্নীতি বিরোধী সচেতনতা বৃদ্ধি পায়।
তিনি আরো বলেন, দেশে এখন অভাবের কারণে খুব বেশি দুর্নীতি হয় না, বরং দুর্নীতি যা হচ্ছে তা অতিলোভের কারণে। তাই কমিশন চায় সমাজের প্রতিটি স্তর থেকে দুর্নীতির বিরুদ্ধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে।
কর্মশালায় আরো বক্তব্য রাখেন দুদক কমিশনার ড. নাসিরউদ্দীন আহমেদ, এএফএম আমিনুল ইসলাম, দুদক সচিব আবু মো. মোস্তফা কামাল, ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৮০৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৪, ২০১৭
এসজে/আরআর/এসএইচ