শনিবার (৩০ ডিসেম্বর) রাত পৌনে ৮টার দিকে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটের উভয় ফেরিঘাট এলাকায় দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তারা বাংলানিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
পাটুরিয়া ফেরিঘাট শাখা বাণিজ্য বিভাগের মহাব্যবস্থাপক নাসির হোসেন বাংলানিউজকে জানান, বৃহস্পতিবার (২৮ ডিসেম্বর) রাত সোয়া ১১টা থেকে শুক্রবার (২৯ ডিসেম্বর) বেলা পৌনে ১১টা পর্যন্ত ঘন কুয়াশার কারণে দেশের এ গুরুত্বপূর্ণ নৌরুটে ফেরি চলাচল বন্ধ থাকে।
শুক্রবার দুপুরে নৌরুট সচল হলেও পরিস্থিতি পুরোপুরি স্বাভাবিক হওয়ার আগেই সেদিন রাত ১০টা থেকে শনিবার সকাল ৭টা পর্যন্ত ফের মোট নয় ঘণ্টা ঘন কুয়াশার কারণে ফেরি চলাচল বন্ধ রাখা হয়। এতে ফেরিঘাট এলাকায় সাধারণ যাত্রী ও যানবাহন শ্রমিকদের বেশ ভোগান্তি পোহাতে হয়। তবে শনিবার সকাল থেকে ফের এই রুট সচল হলে সন্ধ্যার পর যাত্রীবাহী বাসের চাপ অনেকটাই কমে যায়।
দৌলতদিয়া ফেরিঘাট এলাকার বাণিজ্য বিভাগের ব্যবস্থাপক খোরশেদ আলম বাংলানিউজকে জানান, যাত্রী ভোগান্তির বিষয়টি বিবেচনা করে যাত্রীবাহী পরিবহন, জরুরি পণ্যবাহী ট্রাক ও ব্যক্তিগত ছোট গাড়িগুলো অগ্রাধিকার ভিত্তিতে নৌরুট পার করে দেওয়া হয়। এসময় অন্যান্য পণ্যবাহী ট্রাকগুলোকে ঘাট এলাকার টার্মিনালে আটকে রাখা হয়।
এরপর পরিস্থিতি অনুযায়ী সিরিয়াল অনুসারে এই ট্রাকগুলো পারাপার করা হয়। রাত পৌনে ৮টা পর্যন্ত রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া ফেরিঘাট এলাকায় ৬০-৭০টি যাত্রীবাহী পরিবহন ও ৩০০টির মতো পণ্যবাহী ট্রাক নৌরুট পারাপারের অপেক্ষায় রয়েছে। তবে ব্যক্তিগত ছোট গাড়ির চাপ না থাকার কারণে ঘাট এলাকায় আসা মাত্রই সেগুলো নৌরুট পারাপার হচ্ছে বলে জানান খোরশেদ।
পাটুরিয়া ফেরিঘাট এলাকার বাণিজ্য বিভাগের ব্যবস্থাপক সালাউদ্দিন হোসেন জানান, পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটে ছোট বড় মিলিয়ে মোট ১৭টি ফেরি দিয়ে যানবাহন ও যাত্রী পারাপার করা হচ্ছে।
সবশেষ খবর পর্যন্ত পাটুরিয়া ফেরিঘাট এলাকায় নৌরুট পারের অপেক্ষায় যাত্রীবাহী কোনো পরিবহন না থাকলেও প্রায় ৪০০টির মতো পণ্যবাহী ট্রাক টার্মিনাল ও ঘাটের আশেপাশের এলাকায় আটকে রয়েছে। সিরিয়াল অনুযায়ী এই ট্রাকগুলো এখন পারাপার করা হচ্ছে বলে জানান সালাউদ্দিন।
বাংলাদেশ সময়: ২০২২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩০, ২০১৭
এইচএ