রোববার (৩১ ডিসেম্বর) সকালে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে সুজন আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন বদিউল আলম মজুমদার।
তিনি আরও বলেন, সরকারের পক্ষ থেকে নির্বাচন প্রভাবিত করার চেষ্টা দেখিনি।
সংবাদ সম্মেলনে প্রাবন্ধিক, গবেষক ও কলাম লেখক সৈয়দ আবুল মকসুদ বলেন, রংপুর নির্বাচনকে জাতীয় নির্বাচনের পূর্বাভাস মনে করলে ভুল হবে। এখানে ভোটাররা কোনো দলকে ভোট দেয়নি, সবাই এরশাদকে ভোট দিয়েছে। এই নির্বাচন অ্যাসিড টেস্ট ছিলো না, এটা ছোট নির্বাচন। তবে নির্বাচন ভালো হয়েছে।
নারী নেত্রী হামিদা হোসেন বলেন, মাত্র তিনজন নারী প্রার্থী সাধারণ কাউন্সিলর হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন। এটা আরও বাড়ানো দরকার, দলগুলো নারীদের মনোনয়ন দেয়নি।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে সুজন একটি পরিসংখ্যান তুলে ধরে। এতে দেখা যায়- ৪২.২২ শতাংশ প্রার্থীর শিক্ষাগত যোগ্যতা এসএসসির নিচে। মাত্র ২০ শতাংশ প্রার্থী স্নাতক পাস, এরমধ্যে নবনির্বাচিত মেয়রও একজন। এছাড়া স্নাতকোত্তর পাস প্রার্থী ৪.৪৪ শতাংশ।
পরিসংখ্যানে আরও দেখা যায়- যাদের আয় ৫ লাখ টাকার কম তাদের নির্বাচিত হওয়ার হারও কম, যাদের আয় ৫ লাখ টাকার বেশি তাদের নির্বাচিত হওয়ার হার বেশি।
পরিসংখ্যান অনুযায়ী নির্বাচিতদের মধ্যে অধিকাংশ ব্যবসায়ী। নির্বাচিত ৩৩ জন সাধারণ কাউন্সিলরের মধ্যে ২৪ জনই ব্যবসায়ী। নির্বাচিত মেয়র নিজেও ব্যবসায়ী। ঋণগ্রহীতাদের নির্বাচিত হওয়ার হার প্রতিদ্বন্দ্বিতার তুলনায় বেশি।
বাংলাদেশ সময়: ১২৩২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩১, ২০১৭
ইইউডি/এমজেএফ