রোববার (৩১ ডিসেম্বর) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) ‘বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি ২০১৭: আসক’র পর্যবেক্ষণ’ শিরোনামে এক সংবাদ সম্মেলনে একথা জানানো হয়।
সংস্থাটির নির্বাহী পরিচালক শীপা হাফিজা মানবাধিকার পরিস্থিতির উন্নয়নে সংশ্লিষ্টদের আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, এতো মানবাধিকার পরিস্থিতির অবনতি করে একটি দেশ চলতে পারে না। প্রতিবেদন পাঠ করেন আসকে'র সমন্বয়কারী আবু আহমেদ ফয়জুল কবির।
মানবাধিকার পরিস্থিতি তুলে ধরে আসক’র প্রতিবেদনে বলা হয়, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের পরিচয় দিয়ে অপহরণ, গুম ও গুপ্তহত্যার ঘটনার পাশাপাশি এ বছরে নিখোঁজ হওয়ার ক্ষেত্রে যুক্ত হয়েছে সাবেক রাষ্ট্রদূত, সরকারি কর্মকর্তা, শিক্ষক, প্রকাশক, শিক্ষার্থী, ব্যবসায়ী, সাংবাদিক, রাজনৈতিক নেতা। বিদায়ী বছরে (২০১৭ সালে) গুম হয়েছে ৬০ জন। এদের মধ্যে মরদেহ উদ্ধার হয়েছে ২ জনের, গ্রেফতার দেখানো হয়েছে ৮ জনকে, ফিরে এসেছেন ৭ জন, বাকীদের খোঁজ পাওয়া যায়নি।
ক্রসফায়ার, বন্দুকযুদ্ধসহ গুলিবিনিময়ের নামে ১৬২ জনকে বিচারবর্হিভূতভাবে হত্যা করা হয়।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, এ বছর মত প্রকাশের স্বাধীনতা বাধাগ্রস্ত হয়েছে। আইসিটি আইনের বিতর্কিত ৫৭ ধারা বাতিলের দাবিতে গণমাধ্যম কর্মীরা স্বোচ্চার থাকলেও এর অপপ্রয়োগ অব্যাহত ছিল। ৫৪ জন সাংবাদিক লেখকের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
১২২ সাংবাদিক হয়েছেন নির্যাতিত এবং একজন মৃত্যুর শিকার হয়েছেন।
আইন ও সালিশ কেন্দ্রের বার্ষিক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, ২০১৭ সালে দেশে ধর্মীয় ক্ষেত্রে বিভিন্ন সময় বাধা ও প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করার অভিযোগ এসেছে। হিন্দু সম্প্রদায়ের ১২২টি প্রতিমা, পাশাপাশি ৪৫টি বাড়ি, ২১ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভাঙা হয়।
২০১৭ সালে নারী নির্যাতন আশঙ্কাজনকভাবে বেড়েছে। ৮১৮ জন নারী ও শিশু ধর্ষণের শিকার হয়েছে। গত বছর তা ছিল ৬৫৯ জনে।
এছাড়া সীমান্ত হত্যা ও নির্যাতনে বিষয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১৭ সালে সীমান্তহত্যা ও নির্যাতন অব্যাহত ছিল। শীপা হাফিজা বলেন, ২০১৭ মানবাধিকার পরিস্থিতি পর্যালোচনায় বলতে হয়, এ মোটেও সন্তোষজনক নয়। , উদ্বেগজনক। আমরা এর পরিবর্তন চাই।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৫৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩১, ২০১৭
কেজেড/এসএইচ