এই শীতে খেটে খাওয়া মানুষসহ সাধারণ মানুষ ঘর থেকে বেরোতে না পারলেও রাস্তার ধারে
দোকানের কোনো এক কোনো বসে থাকা ভ্রাম্যমাণ দোকানদারদের শীতের গরম গরম মজাদার ভাপাপুলি, দুধ আর ডিমের ব্যবসা চলছে রমরমা।
রাস্তার ধারের ভ্রাম্যমাণ দোকানদাররা কেউ ভাপাপুলির পসরা সাজিয়ে কেউবা দুধ আর ডিম নিয়ে বসে আছে।
কথা হয় উপজেলার কালুপাড়া ইউপির ঢাঙ্গারপাড়া গ্রামের ভাপাপুলি বিক্রেতা ইয়ারুল ইসলামের(২৫) সঙ্গে।
তিনি বাংলানিউজকে জানান, ভাপাপুলি বিক্রি হয় সন্ধ্যা হতে রাত ১২টা পর্যন্ত। প্রতি পিঠা পাঁচ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। যা হতে প্রতিদিন আয় হয় কমপক্ষে ৬-৭শ টাকা। আমার অন্য তিন ভাই আমার মত শীতের এই সময়টাতে পৌরশহরের অন্য মোড়ে ভাপাপুলির দোকান দিয়ে ব্যবসা করছে।
তিনি আরও জানান, যত বেশি কুয়াশা আর ঠাণ্ডা, তত বেশি বিক্রি হয় ভাপাপুলি।
কথা হয় উপজেলার মধুপুর ইউপির কাশিগঞ্জ গ্রামের দুধ ও ডিম বিক্রেতা আবু
বক্কর সিদ্দিক(৫২)সঙ্গে।
তিনি জানান, দীর্ঘ ২১ বছর ধরে দুধ ও ডিমের ব্যবসা করছি। শীতকালে এই ব্যবসাটি বেশি চলে। গ্রাহক এতবেশি বেড়ে যায় যে,বসে থাকার সময় পাই না। প্রতি গ্লাস দুধ ১৫ টাকা ও প্রতি পিস ডিম ১০-১২ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। প্রতিদিন বিকেল ৪টা হতে রাত ১১টা পর্যন্ত চলে। প্রতিদিন আয় হয় কমপক্ষে ৮-৯শ টাকা।
তিনি আরও জানান, এক সময় মানুষের বাড়িতে মজুর দিয়ে সংসার চলতো। তখন অভাব
অনটনের অন্ত ছিলো না। এই ব্যবসা করেই জমি কিনে বাড়ি ঘর করা সহ সংসার,
ছেলে-মেয়েদের লেখাপড়া সবকিছুই চলে। আল্লাহর রহমতে আমি ভালো আছি।
বদরগঞ্জ উপজেলা পরিষদের ভাইস-চেয়ারম্যান সাইদুল ইসলাম জানান, কনকনে শীতে এক শ্রেনির মানুষের দুর্ভোগ বেড়ে গেলেও রাস্তার ধারের এই সমস্ত ভাপাপুলি,দুধ ডিমের দোকানগুলো ভালই চলছে।
তিনি আরও জানান, শীতের দাপট বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এ সমস্ত ভ্রাম্যমাণ দোকানগুলোর বিক্রি আরও বেড়ে যাবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৪, ২০১৮
এএটি