কয়েক মিনিট ধরে তিনি বকুল গাছটি দেখেন। অপলক দৃষ্টিতে কিছু সময় চেয়ে থাকেন গাছটির দিকে।
এর আগে শনিবার (৬ জানুয়ারি) দুপুর ২টা ৫ মিনিটে সপরিবারে কুষ্টিয়া স্টেডিয়াম হেলিপ্যাডে অবতরণ করেন রাষ্ট্রপতি। সেখান থেকে সড়ক পথে কুষ্টিয়া সার্কিট হাউসে আসেন।
মধ্যাহ্ন ভোজন শেষে কুষ্টিয়া সার্কিট হাউজ থেকে সড়ক পথে শিলাইদহের কুঠিবাড়ির উদ্দেশে রওনা দেন। বিকেল ৪টার দিকে রাষ্ট্রপতি সপরিবারে রবীন্দ্রনাথের স্মৃতি বিজড়িত শিলাইদহ কুঠিবাড়িতে এসে পৌঁছান। এসময় প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর ও উপজেলা প্রশাসনের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তরা তাকে অভ্যর্থনা জানান।
এসময় রাষ্ট্রপতি পরিদর্শন বইতে স্বাক্ষর করেন এবং সপরিবারে কুঠিবাড়ি পরিদর্শন করেন।
পরিদর্শন শেষে রাষ্ট্রপতি পুকুর পাড়ে একটি বকুল গাছের চারা রোপণ করেন। এরপর শান বাঁধানো পুকুর পাড়ে নির্ধারিত আসনে বসে স্থানীয় শিল্পীদের পরিবেশনায় রবীন্দ্র সঙ্গীত উপভোগ করেন।
‘যখন পড়বে না মোর পায়ের চিহ্ন এই বাটে’ শিল্পীদের সমবেত কন্ঠে উদ্বোধনী সঙ্গীতের মধ্য দিয়ে শুরু হয় গান। রাষ্ট্রপতি একে একে কয়েকটি রবীন্দ্র সঙ্গীত শোনেন।
গান শুনে মুগ্ধ হয়ে তিনি ছয়জন শিল্পীর প্রত্যেককে ১০ হাজার করে টাকা দেন।
কুঠিবাড়ি পরিদর্শনের সময় রাষ্ট্রপতির সঙ্গে তার স্ত্রী রাশিদা খানম, রাষ্ট্রপতির ছেলে ও কিশোরগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য রেজওয়ান আহাম্মদ তৌফিক, মেয়ে স্বর্ণা হামিদ এবং জামাতা উপস্থিত ছিলেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন- আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ, স্থানীয় সংসদ সদস্য আব্দুর রউফ, কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক জহির রায়হান, পুলিশ সুপার এসএম মেহেদী হাসান, কুষ্টিয়া জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সদর উদ্দিন খান, সাধারণ সম্পাদক আজগর আলী, কুষ্টিয়া জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রবিউল ইসলাম প্রমুখ।
প্রায় এক ঘণ্টা কুঠিবাড়িতে অবস্থান করেন রাষ্ট্রপতি। পরে সন্ধ্যায় ছেউড়িয়ার লালন আখড়াবাড়ি পরিদর্শন করেন।
রোববার (৭ জানুয়ারি) রাষ্ট্রপতি কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) চতুর্থ সমাবর্তন অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৯২১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৬, ২০১৮
আরবি/