তিনমাস পর শনিবার (০৬ জানুয়ারি) সকালে মসজিদের আটটি দানবাক্স খোলা হয়। প্রতিবারের চেয়ে এবার সবচেয়ে বেশি টাকা পাওয়া জমা পড়ে।
দানবাক্সগুলো খোলার সময় জেলা প্রশাসকের পক্ষে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আবু তাহের মো. সাঈদ উপস্থিত ছিলেন।
টাকা গণনা কাজে তদারকি করেন কিশোরগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আলমগীর হুছাইন, দানবাক্স খোলা কমিটির সদস্য সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মো. আসাদ উল্লাহসহ প্রশাসনের কর্মকর্তা, মসজিদ পরিচালনা কমিটির সদস্য ও দায়িত্বরত কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
আবু তাহের সাঈদ বাংলানিউজকে জানান, তিনমাস পরপর মসজিদের দানবাক্সগুলো খোলা হয়। সকালে বাক্সগুলো খোলা হলে টাকাগুলো গুনে এক কোটি ২৭ লাখ ৩৬ হাজার ৪৭১ টাকা পাওয়া যায়।
তিনি আরও জানান, যে স্বর্ণালঙ্কার পাওয়া গেছে তা আগের স্বর্ণালঙ্কারের সঙ্গে রেখে দেওয়া হয়েছে। এছাড়া দানে পাওয়া গবাদিপশু ও হাঁস-মুরগি প্রতি সপ্তাহের নির্ধারিত দিনে নিলামে বিক্রি করা হয়।
সর্বশেষ গত বছরের ২৬ আগস্ট মসজিদের দানবাক্স খুলে সর্বোচ্চ এক কোটি ১৫ লাখ ৫৯ হাজার টাকা পাওয়া যায়।
কিশোরগঞ্জের নরসুন্দা নদীর তীরে এই মসজিদ। মসজিদটি অনেক পুরোনো। মসজিদের সঙ্গে একটি মাদ্রাসাও রয়েছে।
দানবাক্সে পাওয়া টাকা কমিটি, জনপ্রতিনিধি ও দায়িত্বশীলদের পরামর্শে বিভিন্ন মসজিদে দান, মাদ্রাসার উন্নয়ন ও জনকল্যাণমূলক কাজে ব্যয় করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ২২১৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৬, ২০১৮
টিএ