গত কয়েকদিন থেকে কুয়াশার পাশাপাশি শীতল বাতাস বইছে দিনাজপুরের ওপর দিয়ে। প্রতিনিয়ত শীতের তীব্রতা বাড়ছে।
দিনাজপুর আবহাওয়া অধিদফতরের পর্যবেক্ষক মো. আজাদুল হক মণ্ডল বাংলানিউজকে জানান, রোববার (৭ জানুয়ারি) সকালে দিনাজপুরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৫ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা দিনাজপুরে চলতি শীত মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। দিনাজপুরের উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া শৈত্যপ্রবাহ আরও দুই থেকে তিনদিন থাকবে।
জেলায় সকাল থেকে বেলা গড়িয়ে দুপুরেও দেখা মিলছে না সূর্যের। দিনাজপুরের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, কয়েকদিনের শৈত্যপ্রবাহের কারণে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। মানুষের নিত্যদিনের স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। শীতের তীব্রতায় জেলার শ্রমজীবী ও ছিন্নমূল পর্যায়ের মানুষরা পড়েছে দুর্ভোগে। ছিন্নমূল মানুষেরা গরম কাপড়ের অভাবে খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছে।
তীব্র শীতে জেলার বোরো ও সবজি চাষ হুমকির মধ্যে পড়েছে। সঠিক যত্ন না নিতে পারলে এবার জেলার কৃষি বিভাগে বড় ধরনের ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে।
দিনাজপুর সদর উপজেলার ৪ নম্বর শেখপুরা ইউনিয়নের সবজি চাষী আলতাফ হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, গত কয়েকদিনে শীতের দাপট বেশি। ফসল রক্ষার্থে কৃষি বিভাগের পরামর্শ অনুযায়ী বালাইনাশক প্রয়োগ করছি। ফসল টিকলেও খরচ গুণতে হচ্ছে অনেক বেশি।
এদিকে শীতজনিত বিভিন্ন রোগে শিশু ও বয়স্করা আক্রান্ত হচ্ছে। স্থানীয় হাসপাতালগুলোতে বেড়েছে রোগীর সংখ্যা। আক্রান্তদের অনেকেই ডায়রিয়া, শ্বাসকষ্ট, নিউমোনিয়া নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন। সব বয়সের মানুষদের এই তীব্র শীতে সতর্ক থেকে চলাচল করার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা।
বাংলাদেশ সময়: ১১৪২ ঘণ্টা, ৭ জানুয়ারি, ২০১৮
আরআর