রোববার (০৭ জানুয়ারি) সচিবালয়ে তথ্য মন্ত্রণালয়ে প্রথম অফিস করে তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনুর সঙ্গে সাংবাদিকদের সামনে হাজির হন একই মন্ত্রণালয়ের নতুন প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম।
তথ্যমন্ত্রীর বক্তব্যের পর আগের ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকাণ্ড নিয়ে ১৫ মিনিটের বেশি বক্তব্য রাখেন তারানা।
‘অনুরোধ করছি আগের মন্ত্রণালয় সম্পর্কে আমাকে কোনো প্রশ্ন না করলে খুশি হবো। কারণ, আমি সেই মন্ত্রণালয় থেকে আরেকটি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব গ্রহণ করেছি। আমি কী করেছি, তার বাইরে কোনো কথা বলা শোভন হবে না বলে মনে করি। আমাকে দিয়ে সেই অশোভন কাজটি করাবেন না। ’
পরে এক সাংবাদিক প্রশ্ন করেন- রিশাফলের পর কয়েকটি গণমাধ্যমে ‘কষ্ট’ পাওয়ার মন্তব্য নিয়ে আপনার বক্তব্য এসেছে।
তারানা বলেন, আমি এটুকু বলতে চাই, আগের যে বিভাগ সেই বিভাগ সম্পর্কে একটি কথাও বলবো না। এর কারণ হচ্ছে, সেই বিভাগ থেকে এই বিভাগে এসেছি, আমার কি এখন কোনোরকম এখতিয়ার আছে সেই বিভাগ সম্পর্কে কথা বলার, এখতিয়ার কিন্তু নেই। আমি এখতিয়ার বর্হিভূত কাজ ছোটবেলা থেকেই করিনি, পরিবারেও শিখিনি, আমি কোনো অশোভন কথা বলতেও শিখিনি। ওই মিনিস্ট্রি রিলেটেড কাজ, আমাকে এই মিনিস্ট্রিতে…।
‘আমি মনে করি একটি জিনিস, একটি চ্যালেঞ্জিং মিনিস্ট্রি থেকে প্রধানমন্ত্রী বিশ্বাস এবং আস্থার জায়গা থেকে, নির্বাচনের আগে সঠিকভাবে কাজ করার একটি প্রত্যাশা থেকে, ইনু ভাইয়ের সঙ্গে মিলেমিশে একসঙ্গে কাজ করবো। এবং সঠিকভাবে কাজ করবো। সেজন্য একটি চ্যালেঞ্জিং মিনিস্ট্রি থেকে আরেকটি চ্যালেঞ্জিং মিনিস্ট্রিতে আমাকে দিয়েছেন। কাজেই আমি কোনোভাবেই মনে করি না, এখানে কোনো অন্যকিছু ভাবার সুযোগ আছে। কাজ করলে সব জায়গাতেই করা যায়..। প্রধানমন্ত্রী শিখিয়েছেন যেকোনো নেতিবাচক শক্তির সঙ্গে লড়াই করতে হয়, সেটি করছি, করবো’।
তাহলে কষ্টটা কোথায়- জানতে চাইলে তারানা হালিম বলেন, উক্তিটি ছিল বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের সময় আপনার কেমন লাগবে, যখন আপনি থাকবেন না- এমন।
দায়িত্ব নিয়ে তারানা হালিম বলেন, ভালো কাজ করার জন্য প্রধানমন্ত্রী যখন যেখানেই দেবেন, সেখানেই কাজ করবো। সততা, দক্ষতার সঙ্গে করবো, কথা কম বলে কাজ করবো। আর একটি বিষয়, দুর্নীতির সময় কখনও আপোস করিনি, করবো না, করা সম্ভব নয়। এটি প্রধানমন্ত্রী শিখিয়েছেন, বঙ্গবন্ধুর আদর্শ- সমাজ থেকে দুর্নীতি আমূলে উৎপাটন করতে হবে।
তিনি বলেন, আমি খুব আনন্দিত যে ইনু ভাই এই মিনিস্ট্রিতে আছেন, দিক নির্দেশনা দেবেন, পরিবারের মতো কাজ করবো। তবে কোনো পরিবারে যদি দুর্নীতিগ্রস্ত কোনো সদস্য থাকেন তাহলে সে রকম কাউকে মেনে নেওয়ারও কারণ নেই।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের দায়িত্ব পালনের সময় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় ও তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টার পরামর্শে দুই বছর চার মাসের বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকাণ্ড তুলে তুলে ধরে তারানা।
শুরুতে তথ্যমন্ত্রী তারানাকে উদ্দেশ্যে করে বলেন, তিনি আমাদের মতো রাজপথের সৈনিক ছিলেন, সরকার পরিচালনা ও মন্ত্রিপরিষদে সরকার চালানোয় আমরা দীর্ঘদিন ধরে কাজ করেছি। আমি জানি টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের চালেঞ্জিং কাজ তা তিনি দক্ষতার সঙ্গে করেছেন, গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন, এজন্য গর্ববোধ করি। একসঙ্গে তথ্য মন্ত্রণালয়ের কাজ আরো দক্ষতার সঙ্গে করতে সক্ষম হবো।
সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়ের সময় তথ্য মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব মো. নাসির উদ্দিন আহমেদ, প্রধান তথ্য কর্মকর্তা কামরুন নাহার উপস্থিত ছিলেন।
বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ মার্চের ২৭-৩১’র মধ্যে
বাংলাদেশ সময়: ১৪৪০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৭, ২০১৮
এমআইএইচ/জেডএস