সোমবার (০৮ জানুয়ারি) বেলা ১১টার দিকে ভারতের পেট্রাপোল বন্দরের ব্যবসায়ীরা এ ধমর্ঘট ডাক দেন। তবে এ পথে পাসপোর্ট যাত্রীদের যাতায়াত স্বাভাবিক রয়েছে।
বেনাপোল চেকপোস্ট কাস্টমস কার্গো বিষয়ক সম্পাদক মাহাবুব হোসেন বাংলানিউজকে জানান, বাণিজ্যের ক্ষেত্রে পেট্রাপোল কাস্টমসের ঘুষ বাণিজ্যসহ বিভিন্ন অনিয়মের কারণে দীর্ঘদিন ধরে বাণিজ্য ব্যাহত হচ্ছিলো। বিষয়টি নিরসনে সেখানকার ব্যবসায়ীরা কাস্টমসকে অনুরোধ জানিয়ে আসছেন। কিন্তু কাস্টমস ব্যবসায়ীদের অভিযোগ পাত্তা না দেওয়ায় বাধ্য হয়ে তারা ধর্মঘট ডাক দেয়। কর্মবিরতির কারণে বেনাপোল-পেট্রাপোল রুটে সব ধরনের পণ্যের আমদানি-রফতানি বাণিজ্য বন্ধ হয়ে যায়।
বেনাপোল কাস্টমস কার্গো শাখার সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা (ইনেসপেক্টর) আরেফিন বাংলানিউজকে জানান, তারা লোকমুখে শুধু এতোটুকু জেনেছেন ভারতীয় কাস্টমস ও ব্যবসায়ীদের মধ্যে দ্বন্দের কথা। তবে পেট্রাপোল বন্দর পণ্য দিলে তারা গ্রহণে প্রস্তুত রয়েছে বলে জানান তিনি।
বেনাপোল স্থলবন্দরের উপপরিচালক (প্রশাসন) রেজাউল করিম বাংলানিউজকে জানান, এপথে আমদানি-রফতানি বন্ধ থাকলেও বন্দরের অভ্যন্তরে পণ্য ওঠা-নামা স্বাভাবিক রয়েছে।
বেনাপোল বন্দরের আমদানি-রফতানি সমিতির সহ-সভাপতি আমিনুল হক বাংলানিউজকে বলেন, এ পথে আমদানি বাণিজ্য বন্ধ থাকায় বেনাপোল ও পেট্রাপোল দুই বন্দরে ঢোকার অপেক্ষায় আটকা রয়েছে পণ্যবাহী সহস্রাধিক ট্রাক। এর মধ্যে মেশিনারি, গার্মেন্টস সামগ্রীর কাঁচামালের পাশাপাশি মাছ, পানসহ বিভিন্ন ধরনের পচনশীল পণ্য রয়েছে। বিষয়টি দ্রুত সমাধান না করলে ব্যবসায়ীদের অর্থনৈতিক লোকসানের আশঙ্কা রয়েছে।
এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত কাস্টমস কর্তৃপক্ষ কোনো সিদ্ধান্তে না আসায় বাণিজ্য বন্ধ ছিলো।
বাংলাদেশ সময়: ১৪১৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৮, ২০১৮
এজেডএইচ/জেডএস