সোমবার (০৮ জানুয়ারি) বিকেলে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে বাংলাদেশ শিশু অধিকার ফোরাম আয়োজিত ‘স্টেট অফ চাইল্ড রাইটস ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক প্রতিবেদন প্রকাশ অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি।
কাজী রিয়াজুল হক বলেন, সামগ্রিকভাবে নির্যাতনের অবস্থা খুবই খারাপ।
তিনি বলেন, শিশুদের বেশি নির্যাতনের কারণ হলো যারা নির্যাতন করে তারা মনে করে তাদের কোনো বিচার হবে না। শিশু নির্যাতনকারীদের খুঁজে বের করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে। তাহলে অন্যরা এ ধরনের অপরাধ করতে ভয় পাবে।
আজ আমাদের দেশে যা ঘটছে এমন দেশ আমরা চাইনি, বঙ্গবন্ধু এমন দেশ চাননি। এ ব্যাপারে রাষ্ট্রের অনেক দায়িত্ব রয়েছে। রাষ্ট্র কি তার দায়িত্ব পালন করতে পেরেছে? ৪৫ শতাংশ শিশুর জন্য আমরা আজ পর্যন্ত একটি অধিদপ্তর করতে পারেনি, যোগ করেন কাজী রিয়াজুল হক।
অনুষ্ঠানে ২০১৭ সালে শিশু হত্যা এবং ধর্ষণ নিয়ে ১০টি জাতীয় দৈনিক পত্রিকার সংবাদ পর্যালোচনা করে প্রতিবেদন প্রকাশ করেন শিশু অধিকার ফোরামের পরিচালক আব্দুস সহিদ মাহমুদ। উপস্থিত ছিলেন, সংগঠনটির চেয়ারম্যান এমরানুল হক চৌধুরী।
লিখিত বক্তব্যে আব্দুস সহিদ বলেন, ২০১৭ সালে গড়ে প্রতিমাসে শিশু হত্যা হয়েছে ২৮টি এবং ৪৯ শিশু ধর্ষণের শিকার হয়েছে। বিচারহীনতা এবং বিচার প্রক্রিয়ার দীর্ঘসূত্রিতা অব্যাহত রয়েছে।
তিনি বলেন, ২০১৭ সালের ১২ মাসে জাতীয় দৈনিক পত্রিকার সংবাদ পর্যালোচনা করে দেখা গেছে- মোট ৩ হাজার ৮৪৫ শিশু বিভিন্ন ধরনের সহিংসতা ও নির্যাতনের শিকার হয়েছে। এর মধ্যে ১ হাজার ৭১০ জন শিশু বিভিন্ন ধরনের অপমৃত্যুর শিকার হয়েছে। ৮৯৪ শিশু যৌন নির্যাতনের শিকার হয়েছে।
শিশু অধিকার পরিস্থিতির উন্নয়ন ঘটাতে কতগুলো সুপারিশ করেন আব্দুস সহিদ। হত্যা, ধর্ষণসহ সকল ধরনের শিশু নির্যাতনের দ্রুত বিচার নিশ্চিত করে অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া এবং রায় দ্রুত কার্যকরের পরামর্শ দেন তিনি। শিশু আইন ২০১৩ এর প্রয়োগ ও বাস্তবায়ন নিশ্চিত করা এবং আইনের বিধিমালা চূড়ান্ত করার তাগিদ দেন।
বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে স্থানীয় সরকার ও মাঠ প্রশাসনকে আরও তৎপর হওয়ার সুপারিশ করেন আব্দুস সহিদ।
বাংলাদেশ সময়: ১৭২৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৮, ২০১৮
এমএইচ/এমজেএফ