সোমবার (০৮ জানুয়ারি) বিকেলে রাজধানীর নাখালপাড়ায় শীতবস্ত্র বিতরণ শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা জানান তিনি।
মন্ত্রী বলেন, যত বড় কর্মকর্তাই হোক, কেউ আইনের ঊর্ধ্বে নয়।
ডিআইজি মিজানের বিরুদ্ধে আইজিপি’র নেতৃত্বে শিগগিরই তদন্ত কমিটি গঠিত হবে। অপরাধ প্রমাণিত হলে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
ওই ব্যাংকার নারী একটি গণমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, গত জুলাই মাসে তার বাসা থেকে তাকে কৌশলে তুলে নিয়ে গিয়েছিলেন পুলিশ কর্মকর্তা মিজান। পরে বেইলি রোডে তার বাসায় নিয়ে তিনদিন আটকে রাখা হয়েছিল ওই নারীকে। আটকে রাখার পর বগুড়া থেকে তার মাকে ১৭ জুলাই ডেকে আনা হয় এবং ৫০ লাখ টাকা কাবিননামায় ডিআইজি মিজানকে বিয়ে করতে বাধ্য করা হয়। পরে লালমাটিয়ার একটি ভাড়া বাড়িতে ওই নারীর সঙ্গে বসবাস করেছেন ডিআইজি মিজান।
নিজের ফেসবুকে স্ত্রী পরিচয় দিয়ে একটি ছবি শেয়ারের পর ওই নারীর ওপর ক্ষেপে যান মিজান। বাড়ি ভাঙচুরের একটি মামলায় তাকে গত ১২ ডিসেম্বর কারাগারে পাঠানো হয়। সেই মামলায় জামিন পাওয়ার পর মিথ্যা কাবিননামা তৈরির অভিযোগে আরেকটি মামলায় তাকে আটক দেখানো হয়। দুই মামলাতেই জামিনের পর ডিআইজি মিজানের বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ তোলেন ওই নারী।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৪৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৮, ২০১৮
পিএম/এমজেএফ