সোমবার (৮ জানুয়ারি) দুপুরে নারায়ণগঞ্জ বন্দরের নবীগঞ্জ এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
রাহুল নারায়ণগঞ্জের বন্দর থানাধীন চৌরাপাড়া এলাকার হুমায়ূন কবিরের ছেলে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সিদ্ধিরগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) নজরুল ইসলাম জানান, মুনমুন গণধর্ষণ ও হত্যা মামলার আসামি চার জনের মধ্যে তিনজন জনকে ঘটনার পরপরই গ্রেফতার করা হয়। এর মধ্যে নেছার আলী নামে একজন আদালতে দোষ স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন।
ইতোমধ্যে ওই মামলার চার্জশিট আদালতে দেওয়া হয়েছে। তিনজন আসামিকে আটক করা হলেও রাহুল দীর্ঘদিন পলাতক ছিল বলেও জানান পরিদর্শক নজরুল।
এর আগে, নারায়ণগঞ্জ বন্দরের চৌড়াপাড়া এলাকার মানসিক প্রতিবন্ধী মুনমুনের সঙ্গে একই এলাকার মিন্টু মিয়ার ছেলে রাসেলের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। মুনমুন রাসেলকে প্রায়ই বিয়ের কথা বললে তিনি বিয়ে করতে রাজি হয় না। মুনমুন রাসেলকে বিয়ের জন্য চাপ দিলে তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে মুনমুনকে হত্যার পরিকল্পনা করে। পরে ২০১৭ সালের ১৭ এপ্রিল সন্ধ্যায় রাসেলের বন্ধু নেছারের সহযোগিতায় মুনমুনকে চিত্তরঞ্জন ঘাটে নিয়ে আসে। সেখানে আগে থেকেই রাসেল, সাইফুল এবং রাহুল উপস্থিত ছিল।
পরে তারা একটি নৌকা ভাড়া করে নদীতে ঘুরতে যায়। নৌকায় রাসেল, নেছার, সাইফুল ও রাহুল মুনমুনকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। ধর্ষণের এক পর্যায়ে মুনমুন অজ্ঞান হয়ে পড়লে মুনমুনকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে মরদেহ শীতলক্ষ্যা নদীতে ফেলে দেয় তারা।
ঘটনার পরদিন ১৮ এপ্রিল শীতলক্ষ্যা নদীতে মরদেহ ভাসতে দেখে এলাকাবাসী থানায় খবর দিলে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।
এ ঘটনায় গত বছরের ১৮ এপ্রিল পুলিশ বাদী হয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করে।
মামলার আসামিরা হলেন- নারায়ণগঞ্জ বন্দরের চৌড়াপাড়া এলাকার মৃত মহিউদ্দিন ওরফে মফিজের ছেলে নেছার আলী (৫২), আরামবাগ এলাকার মৃত হোসেন প্রধান এর ছেলে মো. সাইফুল ইসলাম (২২), চৌরাপাড়া এলাকার মিন্টুর ছেলে মো. রাসেল মিয়া (২০) এবং হুমায়ূন কবিরের ছেলে রাহুল (২৪)।
নিহত মুনমুনের মা সাথী সাংবাদিকদের জানান গ্রেফতার রাহুলের বাবা হুমায়ূন তাদের মামলা তুলে নিতে বিভিন্নভাবে হুমকি-ধমকি দেন। এতে তারা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বলেও জানান সাথী। তিনি তার মেয়ে হত্যার সুষ্ঠু বিচার দাবি করে বলেন আদালত যেনো সুষ্ঠু বিচার করে আসামিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৯০০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৮, ২০১৮
আরআইএস/