ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

উত্তরবঙ্গে ১০ লাখ কম্বল, ৮০ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩২৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৮, ২০১৮
উত্তরবঙ্গে ১০ লাখ কম্বল, ৮০ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার শৈত্যপ্রবাহ ও কুয়াশায় বাইরের পরিবেশে জনজীবন বিপর্যস্ত

ঢাকা: ইতিহাসের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। তীব্র শীতে কাঁপছে উত্তরবঙ্গসহ দেশের বিভিন্ন জেলার মানুষ। বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। শীতার্ত এসব মানুষের জন্য খাবার ও শীত নিবারণের জন্য কম্বল বরাদ্দ করেছে সরকার।
 

সরকারের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, শীতার্ত মানুষের জন্য উত্তরবঙ্গের ২০ জেলায় ১০ লাখ কম্বল এবং ৮০ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
 
চলমান শৈতপ্রবাহের মধ্যে সোমবার (০৮ জানুয়ারি) দেশের ইতিহাসে সর্বনিম্ন ২ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায়।

নীলফামারীর সৈয়দপুরেও তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ২ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সবশেষ ২০১৩ সালের ১১ জানুয়ারি এ জেলার মানুষ ৩ ডিগ্রি তাপমাত্রা দেখেছিলো।
 
এর আগে ১৯৬৮ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি শ্রীমঙ্গলে সর্বনিম্ন ২ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিলো বলে জানিয়েছেন আবহাওয়া অধিদফতরের আবহাওয়াবিদ নিঝুম রোকেয়া আহমেদ। আর ঢাকায় ১৯৫৩ সালে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা নেমেছিলো ৪ দশমিক ৫ ডিগ্রিতে।
 
আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, আরো দুইদিন এ তীব্র শৈত্যপ্রবাহ অব্যাহত থাকবে।

আগুনে শীত নিবারণের চেষ্টা, এক সপ্তাহে ১১ জনের মৃত্যু
 
তীব্র শৈত্যপ্রবাহের মধ্যে রংপুর, কুড়িগ্রাম, লালমনিরহাট, পঞ্চগড়, ঠাকুরগাঁও, দিনাজপুর, গাইবান্ধা, নীলফামারি, রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, নাটোর, কুষ্টিয়া, ঝিনাইদহ, বগুড়া, সিরাজগঞ্জসহ ২০ জেলায় এসব কম্বল ও শুকনো খাবার পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছে সরকার।
 
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব শাহ কামাল বাংলানিউজকে বলেন, এরমধ্যে আজকেই এক লাখ কম্বল ও ২০টি জেলার প্রতিটিতে চার হাজার করে মোট ৮০ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবারের (০৯ জানুয়ারি) মধ্যে সেগুলো পৌঁছে যাবে।
 
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদফতরের মহাপরিচালক (ডিজি) রিয়াজ আহমেদ বাংলানিউজকে বলেন, শুকনো খাবারের মধ্যে ৫ কেজি চাল, ১ কেজি করে ডাল, চিনি, লবণ, চিড়া, ৫০০ গ্রাম মুড়ি, এক প্যাকেট বিস্কুট, মোমবাতি রয়েছে।
 
ডিজি আরো জানান, শীত মৌসুম শুরু হওয়ার পর প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে ১৮ লাখ এবং অধিদফতরে নয় লাখ কম্বল মজুদ ছিল। চলমান শৈত্যপ্রবাহ শুরুর পরে পাঁচ হাজার করে কম্বল পাঠানো হয়েছে।
 
কম্বল এবং শুকনো খাবার বিতরণ মনিটরিংয়ের জন্য দশ জন কর্মকর্তাকে নিয়োগ করা হয়েছে বলেও জানান মহাপরিচালক রিয়াজ আহমেদ।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৯২৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৮, ২০১৮
এমআইএইচ/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।